আজকে আমরা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বা মাইক্রো পরিপোষক সম্পর্কে আলোচনা করবো । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।
যে সকল পরিপোষক খাদ্যের মধ্যে অল্প পরিমাণে থেকেও দেহের শারীরবৃত্তীয় কাজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করে তাদেরকে মাইক্রো পরিপোষক বলে।
এ গুলি দেহের শারীরবৃত্তীয় কাজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করে বলে এদেরকে আনুষাঙ্গিক খাদ্য উপাদানও (Accessory food factors) বলা হয়।
Table of Contents
মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বা মাইক্রো পরিপোষক । Micro Nutrients
খুব অল্প পরিমাণে জরুরি হলেও, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসের সঙ্গে মিলে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে। পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগায়, মেটাবলিজম ঠিক রাখে, হাড় মজবুত করে, এবং মানসিক শান্তি যোগায়।
মোট ১৩ ধরনের অপরিহার্য ভিটামিন রয়েছে। যেমন ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন, পেশী ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। বিভিন্নধরনের খাদ্য মিলিয়ে সুষম ডায়েটের মধ্যে থাকলে সব ভিটামিনই শরীরে প্রবেশ করে। আর ভিটামিনের মতো মিনারেলও হাড়, দাঁত, পেশি, রক্ত, চুল স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়ার জন্য পটাশিয়াম, সালফার, ক্যালসিয়াম, এভং ম্যাগনেসিয়ামের মতো মিনারেলগুলি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লুরাইড এবং ক্রোমিয়ামের মতো খনিজগুলিরও প্রয়োজন রয়েছে।
১। ভিটামিন
(ক) পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন :
ভিটামিন B-কমপ্লেক্স
ভিটামিন B1 বা থায়ামিন
ভিটামিন B2
ভিটামিন B3
ভিটামিন B5
ভিটামিন B6
ভিটামিন B9
ভিটামিন B12
ভিটামিন নন B-কমপ্লেক্স
ভিটামিন C বা অ্যাসকরবিক এসিড
(খ) চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন :
ভিটামিন A, ভিটামিন D, ভিটামিন E ও ভিটামিন K
২। খনিজ লবণ :
(ক) মাইক্রো এলিমেন্টস :
ক্যালসিয়াম (Ca), ফসফরাস (P), সোডিয়াম (Na), পটাসিয়াম (K), ক্লোরিন (CI), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), সালফার (S)
(খ) ট্রেস এলিমেন্টস :
আয়রন (Fc), জিংক (Zn), কপার (Cu), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), ফ্লোরিন (F), ক্রোমিয়াম (Cr), মলিবডেনাম
আরও দেখুনঃ