সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । All Foods Are Nutrients but All Nutrients are not Food

আজকে আমরা জানবো সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।

 

সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । All Foods Are Nutrients but All Nutrients are not Food

 

সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । All Foods Are Nutrients but All Nutrients are not Food

উদ্ভিদজগত সরাসরি পরিপোষক গ্রহণ করে কিন্তু আমরা খাদ্য গ্রহণ কারি। খাদ্যগ্রহণের পর তা পরিপাকনালিতে পাচিত হয়ে কিছু অংশ শোষণ উপযোগী পদার্থে পরিণত হয়, যা কলাকোষে বিপাক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। খাদ্যের এ শোষিত অংশকেই পরিপোষক।

পরিপোষক কলাকোষে বিপাক ক্রিয়ায় অংশ নেয়। খাদ্যের যে অংশ অপ্রাচ্য অবস্থায় থাকে তা বর্জ্য পদার্থ হিসেবে দেহ থেকে নির্গত হয়। এ অপ্রাচ্য অংশ পরিপোষক নয় এবং পুষ্টি ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে না।

অর্থাৎ খাদ্য = পরিপোষক + বর্জ্য পদার্থ (অপাচ্য অংশ )

 

সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । All Foods Are Nutrients but All Nutrients are not Food

 

উদাহরণস্বরূপ শাক সবজি হলো এক প্রকার খাদ্য যা থেকে আমরা গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ লবণ প্রভৃতি পরিপোষক পেয়ে থাকি। কিন্তু সেলুলোজ হলো অপাচ্য অংশ যা পরিপোষক নয় এবং মলের মাধ্যমে দেহ থেকে নির্গত হয়। সুতরাং খাদ্য থেকে অপাচ্য অংশ বাদ দেয়ার পর প্রাপ্ত অংশই হলো পরিপোষক।

অর্থাৎ পরিপোষক = খাদ্য – বর্জ্য পদার্থ (অপাচ্য অংশ )

যে সকল খাদ্য থেকে সরাসরি পরিপোষক পাওয়া যায় বা সরল পাচা অংশ বেশি মাত্রায় থাকে, যা বেশি মাত্রায় দেহে পরিপোষক সরবরাহ করে তাদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য (Nutritious food) বলে। এ পুষ্টিকর খাদ্যে অপাচ্য অংশের মাত্রা অনেক কম। যেমন দুধ, ডিম, মাছ প্রভৃতি পুষ্টিকর খাদা ।

 

সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । All Foods Are Nutrients but All Nutrients are not Food

 

অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, সকল খাদ্যই পরিপোষক কিন্তু সকল পরিপোষক খাদ্য নয় । অন্যভাবে, পরিপোষকে কোনো বর্জ্য পদার্থ থাকে না এবং পরিপাকের প্রয়োজন হয় না বলে এদের সেই অর্থে খানা বলা যায় না।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment