গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

 

গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

 

গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

গুদাম শস্যের পোকামাকড় দমনের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি । যেমন- ক) প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, খ) প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা :

১. শস্য কাটার পরবর্তী সময়ে শস্যদানাকে বেশি সময় ধরে মাঠে ফেলে রাখা যাবে না।

২. রোদে শুকানোর সময় আশে পাশের গুদাম থেকে পোকা এসে যাতে আক্রমণ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভালোভাবে শস্যদানা শুকাতে হবে।

৩. শস্যদানাকে ভালোভাবে বাছাই করে গোলাজাত করতে হবে।

৪. গুদাম ঘরে যথেষ্ট আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৫. গোলাজাত করার পাত্রগুলোকে উত্তমরূপে শুকিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৬. সংররক্ষণ পাত্র এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এদের মুখ খুব ছোট এবং পেট অপেক্ষাকৃত মোটা হয় ।

৭. শস্য ভর্তি করার পর মুখে কিছু বালি, তুষ বা কুঁড়া বা নিম পাতার গুঁড়া দিতে হবে। তারপর মুখ কাঁদা দিয়ে বন্ধ করতে হবে যাতে কোনো ছিদ্র না থাকে ।

 

গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

 

৮. শস্য গোলজাত করার সময় বাঁশের নির্মিত গোলা বা ডোলের ভেতর ও বাহিরের অংশ গোবর
মিশ্রিত মাটি দিয়ে ভালোভাবে প্রলেপ দিতে হয়।

৯. প্রতি কেজি শস্য দানার সাথে ২.৯ গ্রাম হারে নিম. নিশিন্দা বা বিষকাটালী পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে সংরক্ষণ করলে পোকার আক্রমণ কম হয় ।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা :

১. বাহির থেকে গুদাম ঘরের ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রয়োগ করে পোকামাকড় দমন করা যায় ।

২. গামা রশ্মি প্রয়োগ করে বিকিরণের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করা যায়।

৩. প্রতি ১০০০ ঘনফুট জায়গায় ফলিথিয়ন (৫০ ইসি) অথবা ডিডিভিপি (১০০) ইত্যাদির ৮৫ গ্রাম কীটনাশক ৪.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায় ।

 

গুদামজাত শস্যের পোকামাকড় দমন

 

৪. গুদামজাত প্রতিটন বীজে ২-৪ টি ফসটকসিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হলে কীটপ্রতঙ্গ মারা যায়।

আরও দেখুন : 

Leave a Comment