খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

ব্যবহারিক নং-০৫ / খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

উদ্দেশ্য (Objectives)

• খাদ্যদ্রব্যে প্রোটিন নির্ণয় করতে পারা।

• প্রোটিন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা।

• খাদ্যদ্রব্যে প্রোটিনের পরিমাণ জানতে পারা।

 

খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

 

প্রয়োজনীয় মালামাল ও যন্ত্রপাতি (Required tools and raw materials):

১। মাইক্রো-কেলডাল অ্যাপারেটাস – ১টি

২। বার্নার – ১টি

৩। ম্যাচ ১টি

৪ । ফ্লাস্ক (100ml গোলতলি ও 150ml চ্যাপ্টাতলি) – ২টি

৫ । বিকার – ২টি

৬। কনিক্যাল ফ্লাস্ক – ২টি

৭। পাতন যন্ত্র – ১টি

রাসায়নিক দ্রব্যাদি (Chemical requirements):

১। ঘন H2SO4 – 25 ml

২। ডাইজেশন মিক্সচার – 6-8gm

৩। গুঁড়ো পটাশিয়াম সালফেট-100gm

৪। কপার সালফেট – 20gm

৫। সেলেনিয়াম ডাই-অক্সাইড – 2.5 gm

৬। বোরিক অ্যাসিড দ্রবণ – 2% Hot water sol”.

৭। 40% কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ।

 

খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

 

মিশ্র নির্দেশক ঃ

১। ব্রোমোক্রিসল গ্রিন -0.1 gm

২। মিথাইল রেড -0.1 gm

পৃথকভাবে দুটি ফ্লাস্ক নিয়ে তাতে 100ml করে 90% অ্যালকোহল যোগে দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে ।

তত্ত্ব (Theory) :

প্রোটিন একটি N2 ঘঠিত জৈব যৌগ। একে ঘন সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে জারিত করলে তাতে উপস্থিত N2 প্রথমে-

১। অ্যামোনিয়াম সালফেট কস্টিক সোডার সাথে পাতিত করলে NH, গ্যাসরূপে পাতিত হয়। এ অ্যামোনিয়া পরে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের স্ট্যান্ডার্ড বোরিক অ্যাসিড দ্রবণ দ্বারা শোষিত করতে হবে।

২। এরপর স্ট্যান্ডার্ড HCl দ্রবণের সহায়তায় টাইট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শোষিত NH3/N2 এর পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।

কার্যপদ্ধতি (Working procedure)

১। 1gm পরিমাণ কেজিন প্রোটিন একটি কেলডাল ফ্লাস্কে নিয়ে তাতে 25ml ঘন H SO4 এবং 6-8 gm ডাইজেশন মিক্সচার যোগ করে ফ্লাস্কটিকে একটি ডাইজেশন চেম্বারের মধ্যে তিন (৩) ঘণ্টা ধরে তাপ দেয়ার পর ঠান্ডা করে একটি মেজারিং ফ্লাস্কে নিয়ে তার আয়তন পানির দ্বারা 100ml করতে হবে।

২। এবার কেলডাল ফ্লাস্ক হতে পাওয়া দ্রবণ থেকে 10ml দ্রবণ একটি পাতন যন্ত্রে নিয়ে তাতে পরিমাণমতো NaOH দ্রবণ যোগ করার পর পাতিত করতে হবে এবং পাতিত পদার্থ NH3 কে একটি কনিক্যাল ফ্লাস্কে রাখা 10ml বোরিক অ্যাসিড দ্রবণের মধ্যে সংগ্রহ করতে হবে। পাতিত প্ৰবণ 10 minutes ধরে সংগ্রহ করতে হবে।

৩। কনিক্যাল ফ্লাঙ্কে সংগৃহীত NH3 কে স্ট্যান্ডার্ড HCI (0.05) দ্রবণ দ্বারা নির্দেশকের উপস্থিতিতে করতে হবে এবং টাইট্রেশন ভ্যালু লিখে রাখতে হবে।

হিসাব (Calculation) :

সাধারণত প্রোটিনে উপস্থিত শতকরা নাইট্রোজেনের পরিমাণ থাকে 16 ভাগ। কাজেই N2 হতে প্রোটিন রূপান্তর করার ফ্যাক্টর হলো 100 / 16 = 6.25 । দুগ্ধজাত এবং গমজাত প্রোটিনের ক্ষেত্রে প্রোটিন ফ্যাক্টর হলো 6.38 এবং প্রোটিনের শতকরা হার প্রোটিন ফ্যাক্টরের সাহায্যে নিম্নলিখিতভাবে বের করা হয়ে থাকে।

 

খাদ্যদ্রব্যে (ময়দা) প্রোটিন (মাইক্রো কেলডাল পদ্ধতি) নির্ণয়করণ

 

সতর্কতা (Precaution)

১। সতর্কতার সাথে যন্ত্রপাতিগুলো নাড়াচাড়া করতে হবে, অন্যথায় পড়ে গিয়ে ভেঙে যেতে পারে।

২। সঠিকভাবে পাতন কার্যসম্পাদন করতে হবে।

৩। টাইট্রেশন প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

মন্তব্য (Remarks)

১। পাতন যন্ত্র ভালো থাকায় পাতন কার্যে কোনো অসুবিধা হয় নি।

২। পরিমাপক যন্ত্র ভালো থাকায় রাসায়নিক দ্রব্য সঠিক পরিমাপে কোনো অসুবিধা হয় নি।

৩। সর্বোপরি কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment