ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

 

ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

লুচি :

ময়লা ও লবঙ্গ পরিমাপমতো নিয়ে এর সাথে পানি ও ঘি মিশিয়ে মন্নান দিয়ে খামির তৈরি করতে হয়। খামির তৈরি হলে ছোট ছোট রুটির বল তৈরি করতে হয়। তারপর সিঁড়িতে ঘি মাখিয়ে রুটির বল বেলে ছোট ছোট পাতলা রুটির মতো বানাতে হয়।

কড়াইতে ঘি বা তেল গরম করে রুটিগুলো ডুবো তেলে এপিঠ ওপিঠ উল্টিয়ে ভেজে তুলতে হয়। পাত্রে ভাজা লুচি একটির উপর আরেকটি রেখে তেল ঝরিয়ে নিতে হবে।

পরোটা :

পরিমাণমতো ময়দা, লবণ ও পানি দিয়ে ভালো করে মিশাতে হয়। প্রতি কেজি ময়দায় ৭৫ গ্রাম হিসেবে তেল দিয়ে উক্ত খামির ময়ান দিতে হয়। অতঃপর ছোট ছোট বল করে পিড়িতে বেলতে হয়। রুটিতে ঘি দিয়ে তিন ভাজ করে পুনরায় বেলতে হয়। বেলন দিয়ে বেলে চার কোণা আকৃতি করে তৈরি করে ভাওন্নায় ঘি গরম করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে তুললে পরোটা তৈরি হয়।

শিঙাড়া :

আলুর টুকরা, নারিকেল কুচি, মটর ডাল, ফুলকপির টুকরা, চিনাবাদাম ইত্যাদির সাথে লবণ, মরিচ ও গরম মশলার গুঁড়াসহ অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করে ঘিয়ে ভেজে শিঙাড়ার পুর তৈরি করা হয়। এ পুরে মাছ, মাংসের কিমা, কলিজা, পনির ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। তারপর রুটির খামির তৈরি করে ভিমের আকারের ন্যায় রুটি বেলে মাঝ বরাবর কাটা হয়।

কর্তিত অংশ হাতে নিয়ে পানের খিলির মতো ভাজ দিয়ে তার মধ্যে পুর ভরে দিতে হয়। সামান্য পানি দিয়ে শিঙাড়া জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর চোখা মুখ উপরে রেখে থালায় সাজিয়ে রাখতে হয়। কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে ১৫-২০ মিনিট ভাজতে । হালকা বাদামি ও মচমচে হলে চুলা থেকে নামিয়ে সসসহ খাওয়া যায়।

 

ময়দা থেকে লুচি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

 

নিষকপারা :

ময়দায় বেকিং পাউডার ও ঘি বা ডালডা মিশিয়ে ময়ান দিতে হয়। তারপর পরিমাণমতো লবণ, পানি দিয়ে ময়দার খামির তৈরি করতে হয়। ময়দায় কালিজিরা মিশিয়ে রুটির জন্য বল তৈরি করতে হয়। পিঁড়িতে ময়দা ছিটিয়ে রুটি বেলতে হয়। ছুরি দিয়ে রুটি ছোট ছোট বরফি আকারে কাটাতে হয় । ডুবো তেলে উক্ত বরফি হালকা আঁচে অনেকক্ষণ ভাজতে হয়।

সমুচা :

আদা, রসুন, মরিচ, গোলমরিচ, এলাচি বেটে নিতে হবে। মাংস কিমা করে বাটা মসলা, তেলপাতা, লবণ, তেল পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। মাংসে কারি পাউডার দেওয়া যেতে পারে। পানি শুকালে পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে নামাতে হবে।

ময়দা পানি ও লবণ মিশিয়ে ময়ান দিতে হবে। ময়দার খামির তৈরি হয়ে গেলে রুটির জন্য ছোট ছোট বল করে নিতে হবে। একটি রুটির উপর তেল দিয়ে তার উপর আর একটি রুটি নিয়ে আবার তেল লাগাতে হবে। এভাবে ৩-৫টি রুটির পাতলা স্তর করে বেলে বড় করতে হবে। তাওয়া পরম হলে বড় রুটিগুলো একসাথে গরম করে নামিয়ে সাবধানে আলাদা করতে হবে।

রুটি যেন বেশি ভাজা না হয়। সব নামিয়ে রুটি আলাদা করার পর ছুরি দিয়ে ২০x৮ সে.মি. সাইজ করে কাটতে হবে। সামান্য ময়দা পানি দ্বারা গুলিয়ে সেই তৈরি করে রাখতে হবে। এক টুকরা কাটা রুটি ত্রিভুজ আকারে তিন ভাঁজ করে তার মধ্যে কিমার পুর দিতে হবে। অতঃপর সমুচা ডুবা তেলে ভেজে সস বা চাটনিসহ পরিবেশন করতে হবে।

 

ময়দা থেকে দুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, নিমকি

 

আরও দেখুন : 

Leave a Comment