আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বিভিন্ন তেল বীজের নাম
Table of Contents
বিভিন্ন তেল বীজের নাম
ভূমিকা :
মুখরোচক স্বাদের যে কোনো খাবার রান্নাতেই তেলের প্রয়োজন। তেল স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাদ্য। তেল খাদ্য দ্রব্যকে সুস্বাদু করে, খাদ্যগুণকে অটুট রাখে এবং খাবারের খসখসে ভাব দূর করে। তেলে যে ভিটামিন বা খাদ্যগুণ রয়েছে তা খাদ্যবস্তুর সাথে যুক্ত হয়ে এর স্বাদ ও গুণাগুণকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আমাদের দেশের তেলসমৃদ্ধ ফসলগুলো হচ্ছে সরিষা, তিল, চীনাবাদাম, তিসি, গর্জনতিল, সূর্যমুখী, কুসুম ফুল, সয়াবিন, নারিকেল ইত্যাদি। তেল ফসলগুলো আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে আমাদের জনপ্রতি দৈনিক ২২ গ্রাম তেল খাওয়া প্রয়োজন। দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি প্রায় ৭০ ভাগ।
দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভোজ্যতেল শক্তির উৎস হিসেবে অতি প্রয়োজনীয়। চর্বিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ ডি ই কে ইত্যাদি দ্রবীভূত হওয়ার জন্য উদ্ভিজ্জ তেলের প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ এর অভাবে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া উদ্ভিজ্জ তেলে কোলেস্টরল না থাকায় শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। আমরা উদ্ভিজ্জ তেলফসল থেকে দুই ধরনের তেল পেয়ে থাকি। যেমন- উদ্বায়ী তেল ও অনুদ্বায়ী তেল
উদ্বায়ী (Volatile) তেল :
যে সকল তেল খোলা অবস্থায় রেখে দিলে বাষ্পায়িত হয়ে যায় তাকে উদ্বায়ী তেল বলে। যেমন- লেমন ঘাসের তেল, দারুচিনির তেল, কমলা লেবুর খোসার ভেল, গোলাপের পাপড়ির তেল ইত্যাদি। এ তেল সুগন্ধি এবং কনফেকশনারিতে ব্যবহার হয়।
অনুদ্বায়ী (Non Volatile) তেল :
যে সকল তেল খোলা অবস্থায় রেখে দিলে বাতাসে মিশে যায় না বা বাষ্পায়িত হয় না তাকে অনুদ্বায়ী তেল বলে। যেমন- সরিষা তেল, সয়াবিন তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখী তেল, তিসির তেল, তিলের তেল, ভেরেন্ডার তেল ইত্যাদি। উদ্ভিদ উৎস থেকে প্রাপ্ত এ তেলকে ভোজ্যতেল ( Edible Oil) বলে ।
খাঁটি ও ভেজাল তেল :
রান্নার কাজে খাঁটি তেল ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। কারণ খাঁটি তেলে খারাপ গন্ধ থাকে না, এর দ্বারা রান্না করা যে কোনো খাবারের নিজস্ব স্বাদ, গন্ধ নষ্ট হয় না। ভোজ্যতেলগুলো খাঁটি হলে এগুলোর রান্না করা খাবারও উন্নত মানের হয়।
বড় বড় হোটেলে রান্নার জন্য দামি ও খাঁটি উদ্ভিজ্জ তেল যেমন- জলপাইয়ের তেল, লবঙ্গ তেল, তিলের তেল, চালের কুঁড়ার তেল, বাদাম তেল ও সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করে সকল খাবারকে সুস্বাদু করা হয়। কিন্তু আমরা ঘরে সয়াবিন তেল ব্যবহার করি যাতে ভিটামিন থাকলেও স্বাদ ও গন্ধ নেই।
অথচ দেশীয় সরিষার তেলে রয়েছে স্বাদ, ঘ্রাণ ও প্রচুর ভিটামিন। কিন্তু বর্তমানে সরিষার ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা বিভিন্ন ভেজাল বা নিম্নমানের তেল খাচ্ছি। তাজা তরিতরকারির স্বাদ পেতে হলে খাঁটি ভোজ্যতেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
খাঁটি তেল শনাক্তকরণ:
তেল খাঁটি কি ভেজাল তা আমরা খালি চোখে বা গন্ধে বুঝতে পারি না। তবে খাঁটি ও ভেজাল তেল বোঝা যায় নিম্নের কৌশলে –
(১) যে সব তেল গরম করলে তা থেকে অধিক যৌৱা ঘঠে নেই ডেল তো বলে ধরে নিতে হবে।
(২) এ ছাড়া গরম করার ফলে তেল থেকে পড়া গন্ধ বের হলে বা ফেনা উঠতে থাকলে সেই ভেল ও ভেজালমুক্ত। তেজাল পেজে উপরের আবরণ পুড়ে যায়। ফেল কখনই বেশি গরম করতে নেই। এ সময় পদ আসে এবং ডেলের নিজ পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যায়।
তেল ফলনের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি :
বিভিন্ন তেল বীজের নাম :
তেল ফসলের বিভিন্ন জাত বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে ফেল ফসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে তেলের ঘাটতি পূরনের জন্য তেল কানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা এক প্রান। তেল ফসলের উফশী জাতসমূহ নিচের সারণিতে বর্ণনা করা হলো-
আরও দেখুন :