আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় খাদ্য প্রাণরসায়ন নিরাপত্তা ভূমিকা ,যা খাদ্য প্রাণরসায়ন নিরাপত্তা অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
খাদ্য প্রাণরসায়ন নিরাপত্তা ভূমিকা
ভূমিকা খাদ্য বিভিন্ন উৎস থেকে কুলষিত বা সংক্রমিত হতে পারে। কিছু খাদ্যদ্রব্যে জীবাণু ধারণ করে এবং কিছু জীবাণু খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। এ জীবাণু খাদ্যদ্রব্য নাড়াচাড়া প্রস্তুতকালীন এবং প্যাকেজিং এর সময় খাবারে প্রবেশ করে থাকে।
যদি সঠিকভাবে খাদ্যদ্রব্য নাড়াচাড়া, প্রস্তুত করা এবং সংরক্ষণ করা যায় তবে খাদ্যজনিত অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু যদি সঠিকভাবে ঐ প্রক্রিয়াগুলো করা না হয় তবে খাদ্যজনিত অসুস্থতা দেখা দিতে পারে ।
খাদ্য প্রাণরসায়নে নিরাপত্তার সংজ্ঞা (Define safety in food biochemistry) : খাদ্যজনিত অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খাদ্য কাঁচামাল, খাদ্য নাড়াচাড়া, প্রস্তুত এবং সংরক্ষণের সময় স্বাস্থ্যসম্মত উপায় অবলম্বন করাকে খাদ্য নিরাপত্তা বলে। নিরাপত্তা হলো সুরক্ষিত থাকার অবস্থা। খাদ্য প্রাণরসায়নে নিরাপত্তা ও সুরক্ষিত থাকার অবস্থাকে বুঝায়।
এ সুরক্ষা হতে পারে শারীরিক, সামাজিক অথবা জীবাণু ইত্যাদি থেকে। এগুলোর মধ্যে জীবাণু হতে নিরাপত্তাটা খাদ্য প্রাণরসায়নে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য প্রাণরসায়ন শিল্পে চলমান সকল কর্মে যাতে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্চিত ঘটনার উদ্ভব না হতে পারে।
তার জন্য পরিকল্পিত যন্ত্রপাতি এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বীকৃত বিধিবিধান গ্রহণ করা এবং এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মস্থলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিহত করাকে নিরাপত্তা বলে এবং এ গৃহীত কার্যক্রমকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে। খাদ্য প্রাণরসায়নে এ নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রাখার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ঠিক রাখা সম্ভব নয়। এজন্য নিরাপত্তা বিঘ্ন করে বা করতে পারে এমন বিষয়গুলো চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
খাদ্য প্রাণরসায়নে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে—
(i) ভালো অনুশীলন (Good Practices),
(ii) হ্যাজার্ড অ্যানালাইসিস (Hazard Analysis)
(iii) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (Management System)
(iv) বিধিবদ্ধ নিয় (Rules and Regulation)-
আরও পড়ূনঃ