বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা , যা খাদ্য প্রাণরসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা

১৯ শতকের প্রথম দিকেই প্রাণরসায়নের গবেষণা শুরু হয়। ১৮৩২ সালে অ্যাঞ্জেলসে পেয়েন প্রথম এনজাইম (অ্যামাইলেজ) আবিষ্কার করেন এবং কোষের বাইরে অ্যালকোহল ফার্মেন্টেশন করেন। এভাবেই খাদ্য প্রাণরসায়নের শুরু হয়। গত ৪০ বছরে উদ্ভিদ থেকে ঔষধ প্রস্তুতিতে প্রাণরসায়নের ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়।

 

বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা

 

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে প্রাণরসায়ন গবেষণায় নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। বিশেষ করে ক্রোমাটোগ্রাফি, এক্সরে ডিফেকশন, এনএমআর স্পেকট্রোস্কোপি, আণবিক ডাইনামিক্স, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ইত্যাদি আবিষ্কার প্রাণরসায়ন গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

১৮৬৯ সালে নিউক্লিক অ্যাসিড আবিষ্কৃত হবার পর থেকেই এর প্রকৃতি, গঠন উপাদান ও ভৌত গঠন সম্বন্ধে জানার জন্য বিস্তর গবেষণা শুরু হয়। জার্মান রসায়নবিদ Robert Feulgen ১৯১৪ সালে DNA এর রঞ্জন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।

 

বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা

 

১৯৫০ সালে Erwin Chargaff বিস্তর গবেষণার পর দেখতে সক্ষম হন যে-কোনো জীবের DNA তে অ্যাডিনিন ও থাইমিনের পরিমাণ সমান এবং গুয়ানিন ও সাইটোসিনের পরিমাণ সমান। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে Watson ও Crick ১৯৫৩ সালে DNA অণুর ডাবল হেলিক্স মডেল উপস্থাপন করেন, যা প্রাণরসায়ন গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (PCR) হলো প্রাথমিক জিন প্রসপেক্টিং টেকনিক, যা আধুনিক প্রাণরসায়নে বিপ্লব আনে। PCR টেকনিককে ১৯৮৩ সালে কারমুলিস আরও উন্নত করেন।

খাদ্যে প্রাণরসায়নিক গবেষণা সারা বিশ্বে ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে। গবেষণার ফলস্বরূপ অধিক উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছে। রোগমুক্ত, রোগ প্রতিরোধক্ষম ফসল আজ কৃষিতে বিপ্লব এনেছে।

 

বিশ্বে খাদ্য প্রাণরসায়নের অগ্রগতি বর্ণনা

 

Genetically Modified (GM) ফুড আবিষ্কৃত হয়েছে। ফসল সংরক্ষণে ও প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রাণরসায়নের গবেষণা আজ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। উন্নত দেশগুলোতে জিনগত পরিবর্তন এনে অধিক মাংস উৎপাদনে সক্ষম ও রোগ প্রতিরোধক্ষম এরূপ পশুর চাষ শুরু হয়েছে।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- Dolly the sheep, GMO Salmon, Super Muscly pigs, GFP bunny, Micropigs, less farty cows ইত্যাদি কিছু কিছু ইউরোপিয়ান দেশ এসব GM animal কে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই ধারণায় নিষিদ্ধ করেছে। তবে এই নিয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যার গবেষণা এখনও চলছে।

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment