আজকে আমরা আলোচনা করবো পুষ্টিতে পটাসিয়ামের ভূমিকা : পটাসিয়ামের প্রাণরাসায়নিক কাজ । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।
Table of Contents
পুষ্টিতে পটাসিয়ামের ভূমিকা : পটাসিয়ামের প্রাণরাসায়নিক কাজ । The Role of Potassium In Nutrition : Biochemical Functions Potassium
(ক) পটাসিয়ামের উৎস
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে কয়েক গ্রাম পটাসিয়াম, K” (পটাসিয়াম আয়ন) আকারে উপস্থিত থাকে। প্রায় সব খাদ্যের মধ্যেই এ আয়ন থাকে। তবে আখের গুড়, খেজুর, পালং-শার মটর, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেবু প্রভৃতি উদ্ভিদ খাদ্য এবং অশোধিত আহার্য লবণ এর প্রধান উৎস।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণে K’ ও সোডিয়াম আয়নের মত শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। আমাদের শরীরে সব কোষ আবরণের অন্তঃস্থ তরলে এ আয়নের ঘনমাত্রাই সবচেয়ে বেশি।
(খ) কাজ
১। কোষের অসমোটিক চাপ ও বৈদ্যুতিক বিভব নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সঠিকভাবে হাট সংকোচনের কাজ বজায় রাখার জন্য K আয়নের সঠিক ঘনমাত্রা জানা অত্যাবশ্যক।
২। স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির বৈদ্যুতিক বিভব ও তখন ক্রিয়া K+ ও Na+ আয়ন যার নিয়ন্ত্রিত হয়।
৩। দেহকোষের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখে।
8। কোষের বৃদ্ধি ও গঠনের জন্য পটাসিয়াম প্রয়োজন।
৫। গ্লুকোনকে গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত করে।
৬। প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য পটাসিয়াম প্রয়োজন ।
৭। দেহের অভিস্রবণ চাপ এবং দেহকোষের তরলের সমতা বজায় রাখে।
৮। দেহের বৃদ্ধি ও টিস্যুর গঠনে পটাসিয়াম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৯। পটাসিয়াম পেশি ও স্নায়ুর উদ্দীপনা শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপেশির স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখে।
(গ) অভাবজনিত রোগ :
১। দেহে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
২। এর অভাবে মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা যায় ।
৩। হৃদপিন্ডের কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
৪। পটাসিয়ামের অভাবে অস্থিরতা ও পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা যায়।
আরও দেখুনঃ