জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা ,যা খাদ্য প্রাণরসায়ন নিরাপত্তা অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা

হ্যাজার্ড মানে বিপজ্জনক। সহজভাবে যে ঝুঁকি থেকে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেটাই হ্যাজার্ড বা বিপত্তি। এক্ষেত্রে শারীরিক এবং বা স্বাস্থ্যগত যে-কোনো ধরনের ঝুঁকি থেকে হ্যাজার্ড হতে পারে।

যেমন- কর্মক্ষেত্রে ইলেকট্রিক তার ঝুলন্ত অবস্থায় অথবা খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। এ থেকে যে-কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সুতরাং এটি একটি হ্যাজার্ড।

 

জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা

 

ল্যাবের ফ্লোরে তৈলাক্ত পদার্থ পড়ে আছে। এটি এক ধরনের হ্যাজার্ড। খাবারে জীবাণু আক্রমণ করেছে এটি খেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সুতরাং এটিও এক ধরনের হ্যাজার্ড। অর্থাৎ যে উৎস থেকে যে-কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে সেই উৎসই হলো হ্যাজার্ড।

খাদ্য প্রাণরসায়নে এ ধরনের অনেক উৎস থাকতে পারে, যা থেকে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক কথায় বলা যায় যে, যা স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটায় এবং যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপত্তি (Hazard) বলে।

 

জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা

 

সাবধানতা অবলম্বন এবং সাধারণ জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। এটি নিরাপদ কাজের পরিবেশে সাধারণত কোন দুর্ঘটনা ঘটে না। যে-কোনো কাজেই সম্ভাব্য অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। সেটি শিল্পকারখানাতে, হস্তচালিত কাজে কিংবা খাদ্য প্রাণরসায়ন ল্যাবে বা শিল্পে ঘটতে পারে।

বিপত্তি (Hazard) প্রধানত চার ধরনের, যথা-

(i) ফিজিক্যাল বা শারীরিক হ্যাজার্ড (Physical Hazard)

(ii) কেমিক্যাল বা রাসায়নিক হ্যাজার্ড (Chemical Hazard)

(iii) জৈবিক বা বায়োলজিক্যাল হ্যাজার্ড (Biological Hazard)

(iv) অ্যালার্জিনিক হ্যাজার্ড (Allergenic Hazard)।

এটা ছাড়াও ইরগোনমিক হ্যাজার্ড (Ergonomic Hazard) নামে এক ধরনের হ্যাজার্ড আছে। মানুষ, যন্ত্রপাতি ও কর্ম পরিবেশ এ তিনটির মধ্যে সম্পর্কযুক্ত যে হ্যাজার্ড, তাকে ইরগোনমিক হ্যাজার্ড বলে।

 

জৈব রাসায়নিক বিপত্তি এবং ঝুঁকির ধারণা

 

শারীরিক ঝুঁকি ঃ বন্ধু এবং ব্যক্তির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়ে থাকে।

– অত্যধিক শব্দ

– অপর্যাপ্ত আলো

– অত্যধিক তাপমাত্রা

– ভাইব্রেশন

– রেডিয়েশন

– অপর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন

– অত্যধিক চাপ।

রাসায়নিক ঝুঁকি ঃ রাসায়নিক হ্যাজার্ডগুলো হলো-

(i) হালকা কুয়াশা তরল পদার্থের ক্ষুদ্র কণিকা যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

(ii) গ্যাস- এটা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। কক্ষ তাপমাত্রায় এটি ভাসমান থাকে ।

(iii) বাষ্প ভরল বন্ধু যখন কক্ষের তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হয়।

(iv) ধুলা ক্ষতিকর কঠিন বস্তু যখন মেশিন দ্বারা কোনো কিছু গুঁড়া বা চূর্ণ করা হয়।

(v) উগ্র গন্ধের ধোঁয়া বাতাসে গ্যাস ঘন অবস্থায় থাকে। রাসায়নিকভাবে এটি পরিবর্তিত হয়ে সূক্ষ্ম কণায় পরিণত হয়। এটি বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

জৈবিক ঝুঁকি : জীবন্ত বস্তু থেকে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় সেটি হলো জৈবিক ঝুঁকি। এটা-

– ব্যাকটেরিয়া

– ভাইরাস: ছত্রাক

– রিকেটসিয়া ইত্যাদি ।

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment