খাদ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়

ব্যবহারিক নং-০৪ / খাদ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়।

খাদ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়

উদ্দেশ্য ঃ

খাদ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট নির্ণয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন । পরীক্ষাগারে কার্বোহাইড্রেট শনাক্তকরণে কিছু যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্যের প্রয়োজন হয় ।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required instruments)

১। বুনসেন বার্নার

২। কাচের টেস্টটিউব

৩। বিকার (৫০০ ও ১০০ এমএল)

৪। কনিক্যাল ফ্লাস্ক

৫। ভলিউমেট্রিক ফ্লাস্ক (১০০, ৫০০ ও ১০০০ এমএল)

৬। পিপেট

৭। ত্রিপদ স্ট্যান্ড

৮। চিমটা

৯। মাপের চোঙ

১০। টেস্টটিউব স্ট্যান্ড।

 

কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়

 

রাসায়নিক দ্রব্য (Chemicals) :

১। গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ল্যাক্টোজ, সুক্রোজ ও শ্বেতসার

২। অ্যালবুমিন (প্রোটিন)

৩। মলিশ (Molisch) বিকারক

৪ । বেনডিক্ট দ্রবণ

৫। বারফয়েড দ্রবণ

৬। আয়োডিন দ্রবণ

৭। সেলিভানফ বিকারক

৮। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড

৯। মিলন বিকারক

১০। নিনহাইড্রিক বিকারক

১১। অ্যাসিটিক অ্যাসিড

১২। সালফিউরিক অ্যাসিড।

কার্বোহাইড্রেট পরীক্ষা :

নিচের পরীক্ষাগুলোতে ১% গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, মন্টোজ, ল্যাক্টোজ, সুক্রোজ এবং স্টার্চ ব্যবহার করা হয়। এ কার্বোহাইড্রেটগুলোর প্রত্যেকটি ১০ গ্রাম গুঁড়ার সাথে ১০০০ এমএল (১ লিটার) পাতিত পানির সাথে মিশিয়ে Stock solution বানাতে হবে। এবার নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করতে হবে :

১। মলিশ টেস্ট ঃ এটি সব ধরনের শর্করার সাধারণ পরীক্ষা। ৫ এমএল শর্করার দ্রবণে ২ ফোঁটা মলিশ বিকার ঢালতে হবে। টেস্টটিউবটি একটু কাত করে প্রায় ৩ এমএল কড়া সালফিউরিক অ্যাসিড টিউবের গা বেয়ে ঢালতে হবে। একটি বেগুনি বলয় (Violet ring) অ্যাসিড ও শর্করার মাঝখানে দেখা যাবে। শর্করা হতে ফারফুরাল (Furfural) উৎপন্নের জন্য এই রং সৃষ্টি হয়।

 

কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়

 

২। বেনডিক্ট পরীক্ষা ঃ টেস্টটিউবে ৫ এমএল বেনডিক্ট দ্রবণ নিতে হবে। ৮ ফোঁটা শর্করা দ্রবণ ঢালতে হবে এবং বিকারে উত্তপ্ত পানিতে টেস্টটিউবটি রাখতে হবে। চিমটা দিয়ে ধরে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশাতে হবে।

প্রায় ৩ মিনিট উত্তপ্ত পানিতে রাখার পর টেস্টটিউবটি নামিয়ে রাখতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে লালচে তলানি পড়বে।ডায়াবেটিক রোগীদের মূত্র নিয়ে এই পরীক্ষা করলে মূত্রে গ্লুকোজের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

একই পদ্ধতিতে বারফয়েড পরীক্ষা করা যায়। এ পরীক্ষা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও গ্যালাক্টোজের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

৩। সেলিভানফ পরীক্ষা (Selivanoff test) ঃ এ পরীক্ষা কিটো শর্করা বিশেষ করে ফ্রুক্টোজের বেলাতে প্রযোজ্য। ৫ এমএল বিকারকের সাথে ৫ ফোঁটা ফ্রুক্টোজ দ্রবণ যোগ করতে হবে এবং উত্তপ্ত পানিতে ১ মিনিট ফুটাতে হবে। লালচে রং ধারণ করলে ফ্রুক্টোজ শনাক্ত করতে হবে।

8। আয়োডিন পরীক্ষা ঃ ২–৩ এমএল স্টার্চ (শ্বেতসার) দ্রবণের সাথে ২-৩ ফোঁটা আয়োডিন দ্রবণ মিশাতে হবে। স্টার্চের সাথে আয়োডিন কালচে নীল বর্ণ দিবে, যা স্টার্চের উপস্থিতি নির্দেশ করে। নিচের চার্টে অজানা কার্বোহাইড্রেটের শনাক্তকরণের ধারাবাহিক পরীক্ষা দেখানো হলো ঃ

 

কার্বোহাইড্রেট নির্ণয়

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment