আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মশলা গুঁড়াকরণ ও প্যাকেটজাতকরণ অনুশীলন
Table of Contents
মশলা গুঁড়াকরণ ও প্যাকেটজাতকরণ অনুশীলন
মশলা গুঁড়াকরণ ও প্যাকেটজাতকরণ অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে শুধু শহরে নয়, গ্রামের নারীরাও রান্নার কাজে ব্যবহার করছে গুঁড়া মসলা। সুতরাং দিন দিন বেড়ে চলছে গুঁড়া মসলার চাহিদা। ফলে একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে ব্যবসা। মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে নানা আয়বৃদ্ধিমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সেদিক দিয়ে একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসার নাম গুঁড়া মসলার ব্যবসা। নানা ধরনের গুঁড়া মসলা বাজারে প্রচলিত আছে। তবে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন গুঁড়া মসলা হলো হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া।
উপকরণ :
মসলা ভাঙানোর মেশিন, দাঁড়িপাল্লা, চটের ব্যাগ, পলিব্যাগ ও চামচ, প্লাস্টিকের বোল ইত্যাদি।
মসলা গুড়া করা ও প্যাকেট করতে নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে :
১. পরিপক্ব, রোগ ও পোকামুক্ত, উন্নত জাতের ও মানের মসলা যেমন- হলুদ, মরিচ, ধনিয়া সংগ্রহ করতে হবে।
২. হলুদের মধ্যে ‘হীরণচোখা’ হলুদ গুণগত মান ভালো। মরিচের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল লাল বর্ণের মরিচ ভালো, ধনিয়ার ক্ষেত্রে ধূসর রঙের বড় বড় দানা হতে হবে ।
৩. মসলাগুলোর উজ্জ্বল রং বিশিষ্ট এবং আস্ত অর্থাৎ ভাঙা হবে না এবং সুন্দর গন্ধ দেখে নির্বাচন করতে হবে।
৪. মসলাগুলো সংগ্রহের পরে এগুলো থেকে ময়লা ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।
৫. মরিচের বোঁটা ফেলে দিতে হবে। হলুদ ভেঙে দেখতে হবে শুকনা হয়েছে কিনা বা এর গুণগত মান কেমন।
৬. মসলা ভাঙানোর পূর্বে ভালো করে উজ্জ্বল রোদে ২-৩ ঘণ্টা করে দুই দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে ।
৭. মসলা বস্তা বা ব্যাগে ভরে মিলিং মেশিনে বা কলে নিয়ে যেতে হবে। গম ভাঙানোর কলে মসলা উত্তমরূপে ভাঙানো যাবে।
৮. গুঁড়া করা মসলা ঘরে এনে ঠাণ্ডা করতে হবে।
৯. মসলা মেপে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পলিব্যাগে ভরে সিল করে দিতে হবে। (যেমন- ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ইত্যাদি)
১০. তারপর প্যাকেটে লেবেল দিয়ে বাজারজাত করা যাবে।
সতর্কতা :
১. মসলা ভাঙানোর পূর্বে রোদে না দিলে মসলার সংরক্ষণ গুণ খারাপ হবে।
২. ভাঙানোর পূর্বে ময়লা ও আবর্জনা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্যাকেটে বাজারজাত করতে হবে।
৪. লেবেল-সতর্কতার সাথে লাগাতে হবে।
৫. প্যাকেটের মুখ ভালোভাবে সিল করতে হবে।
৬. কোনো প্রকার ভেজাল মসলার সংযোজন করা যাবে না ।
আরও দেখুন :