আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ময়দা থেকে মিষ্টি খাদ্য
Table of Contents
ময়দা থেকে মিষ্টি খাদ্য
ময়দা থেকে মিষ্টি খাদ্য
গজা :
লুচি তৈরির খামিরের চেরে আরো ভালো করে ছেনে নিতে হবে। খামির ভালো করে ছেনে না নিলে গঙ্গা ভালো হবে না। কিছু কালিজিরা মিশিয়ে নিতে হবে। চিনি ও পানি চুলায় ভালো করে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে রাখতে হবে। খামির বেলে লুচির মতো করতে হয়। চারদিক থেকে ১.৫ সেমি. করে বাদ দিয়ে ৫-৬টি লম্বা টুকরা করতে হয়।
তারপর সাবধানে মাদুরের মতো বেলে দুই দিকে টিপে দিতে হয়। যাতে করে বেলনের হাতলের মতো দুইটি হাত তৈরি হয়। হাতল ধরে পজা ডুবোতেলে অল্প আঁচে ভেজে চিনির সিরায় দিতে হয়। মিনিট খানেক সিরায় ডুবিয়ে রেখে প্লেটে সাজিয়ে রাখা হয়। বিকেলে চাল্পের সাথে নাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
খাজা :
এক কেজি ময়দার ২৫০ গ্রাম যি দিয়ে ভালো করে ছেনে খামির তৈরি করতে হয়। খামির থেকে লেচি কেটে ৫-৮ সে.মি. চওড়া ও ১৫-১৮ সে.মি. লম্বা করে রুটি বেলে নিতে হয়। তারপর রুটিতে ঘি-এর প্রলেপ দিয়ে দুইভাজ করে তার উপর ঘি ছড়িরে মরদার ঠুঙ্গির মতো করতে হয়।
ঠুজিটা সিঁড়ির উপর রেখে হাত দিয়ে চ্যাপ্টা করতে হয়। আবার দুই ভাজ করে ঘি মিশাতে হয়। এ রকম কয়েকবার কুণ্ডলী পাকানো ঘি মিশাতে হয়। শেষে লুচির মতো ভেজে পাত্রে তুলে রাখতে হয়ে। তাহলেই খাজা তৈরি হয়।
মুফালী :
ময়দা, লবণ, খাবার সোডা ও পানি ভালো করে মিশিয়ে খামির বা মঞ্চ তৈরি করতে হয়। তারপর বেলন বা পিড়ির সাহায্যে রুটি তৈরি করতে হয়। ছুরি দিয়ে উক্ত রুটি থেকে ১ x ৮ সে.মি, আকৃতির টুকরা করতে হয়। কড়াইতে তেল গরম করে হালকা আঁচে ভেজে তুলতে হয়।
চিনি, রং ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে সিরা তৈরি করতে হয়। সিরা আঁশ আঁশ হলে ভাজা মুড়ালী দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হয়। চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে মুড়ালী খাওয়া ও বিক্রয়ের জন্য তৈরি হয়। গ্রামে ও গঞ্জের মেলার এ মুদ্রালী বেশি পাওয়া যায়।
ডোনাট :
মুরগির ডিমে সামান্য দুধ, চিনি ও ঘি দিয়ে ফেটাতে হবে। ময়দার সাথে বেকিং পাউডার ও ফোটানো ডিম এক সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে ময়ান করে মণ্ড বা খামির তৈরি করতে হয়। পিঁড়িতে সামান্য শুকনা ময়দা দিয়ে তাতে আধা সেমি. পুরু করে রুটি বেলে নিতে হয়।
ডোনাট কাটার দিয়ে রুটি কেটে তা ডুবোতেলে ভেজে নিলেই ডোনাট তৈরি হয়ে যাবে। যে কোনো বিস্কুট কাটার নকশা দিয়েও কাটা যায়। ডোনাট বিকেলের নাস্তার খাওয়া যায়।
জিলাপি :
জিলাপি তৈরির জন্য ময়দা ঘন করে ঞ্চলে শীতের দিনে দুই দিন এবং গরমের দিনে একদিন ঢেকে রাখতে পারলে ভালো হয়। এছাড়া ময়দা ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে জিলাপি তৈরি করা হয়। চিনি পানিতে গুলে জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে ময়লা থেকে নিতে হয়। তারপর গোলাপ জল বা কেওড়া জল মিশিয়ে সিরা তৈরি করতে হয়।
ময়দার উপর ২/১টি বুদবুদ উঠলে জিলাপি তৈরির উপযোগী হয়। ময়দার উপরের জমানো পানি ফেলে সামান্য জর্দার রং দিয়ে ভালো করে ময়দা ও পানি স্টেয়ারিং করে বা নেড়ে ঘন গোলা তৈরি করতে হয়।
চারকোণা মোটা কাপড়ের একটুকরার মাঝে ছিদ্র করে ভিজিয়ে নিতে হয়। তারপর ভিজা কাপড়ে ময়দা গোলা নিয়ে পুঁটলি আকারে নিতে হয়।
কড়াইতে তেল বা ঘি গরম করে ময়দার গোলার পুঁটলি কড়াইয়ের উপর ধরতে হয়। গোলা চাপ দিয়ে প্রথমে গোল করে এক প্যাচ ২য় বার ২য় প্যাচ এবং ৩য় বার অর্ধেক প্যাচ করে গোলা গরম তেলে দিতে হয়। এভাবে আড়াই প্যাচের জিলাপি পরপর লম্বা করে তৈরি করতে হয়।
অল্প আঁচে বাদামি করে ভেজে উল্টেপাল্টে চিনির সিরায় ৮-১০ মিনিট ডুবিয়ে সিরা ঝরিয়ে প্লেটে তুলতে হয়। জিলাপি গরম গরম পরিবেশন করলে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। ময়দা ছাড়াও মাষকলাই, সয়াবিন ও আলু দিয়ে জিলাপি তৈরি করা যায়।
আরও দেখুন :