আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় গোলাজাত গম শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড়
Table of Contents
গোলাজাত গম শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড়
গোলাজাত গম শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড়
গুদামজাত শস্যে এবং অন্যান্য দ্রব্যে কীটপতঙ্গ, ইঁদুর এবং ক্ষুদ্র মাকড় ইত্যাদির আক্রমণ হয়ে থাকে। এইসব আপদ বা বালাইয়ের আক্রমণে পৃথিবীর খাদ্য সরবরাহের প্রায় ১০% নষ্ট হয়ে থাকে। হিসেব করে দেখা গেছে, প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্যশস্য গুদামজাত অবস্থায় নষ্ট হয়, তা দিয়ে ২৫৫ মিলিয়ন লোককে এক বছর খাওয়ানো যায়।
নিম্নে গোলাজাত গম ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের নাম ও ক্ষতির বর্ণনা দেওয়া হল-
১. ধানের খড় পোকা বা রাইস উইভিল।
২. কেড়ি পোকা বা লেসার গ্রেইন বোরার।
৩. লাল শুসৱী পোকা বা রেড প্রেইন বিটল।
৪. খাপড়া বিটল।
৫. ধানের সুরুই পোকা বা রাইস মা ।
৬. গুলরী পোকা বা স টুড গ্রেইন বিটল।
৭. কাডেল পোকা বা কাডেল বিটল।
৮. বাদামি বিটল পোকা বা ব্রাউন বিটল। ৯. লেসার কেড়ি পোকা বা লেসার মিল ওয়ার্ম।
১০. চ্যাপ্টা বিটল বা ফ্লাট প্লেইন বিটল।
১১. মাকড় বিটল বা স্পাইডার বিটল ইত্যাদি।
উপরোক্ত এগারোটি পোকা গুদামজাত গম ফসলে বেশি আক্রমণ করে থাকে। এর মধ্যে ক্রমিক নং ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পোকার পরিচিতি, ক্ষতির প্রকৃতি ও দমন ১ম পত্রের ২য় অধ্যায়ে বর্ণনা আছে। ৬ নং ক্রমিক থেকে নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
তসরী পোকা বা স টুথফ গ্ৰেইন বিটল :
এই পোকা আর্দ্র শস্য বিশেষ করে চাল ও গমের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। গুদামজাত গমের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তার ক্ষতি করে। এই পোকার আক্রান্ত গমের স্বাদ নষ্ট হয় এবং বিভিন্ন অযোগ্য হয়ে যায়। ভালোভাবে প্যাকেট করা দ্রব্যও এদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। শরীর চ্যাপ্টা বলে এরা অতি সহজেই পমের বস্তা এবং প্যাকেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
ফ্যাডেল বিটল:
এরা গম দানা ও আটা খেয়ে নষ্ট করে। আটার মিলে আটা খায় এবং পূর্ণাঙ্গ পোকা অন্য পোকা মেরে খেয়ে ফেলে। এছাড়া এরা মোড়কজাত খাদ্যের প্যাকেট বা কার্টন নষ্ট করে ফেলে।
বাদামি বিটল পোকা :
এটি আমাদের দেশে একটি গৌণ পোকা। এটি ধানের কুঁড়া ও ভাঙা শস্যদানার আক্রমণ করে। তবে গমও এদের আক্রান্ত কর। আমাদের দেশে এটি পাওয়া গেলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব তেমন পাওয়া যায়নি।
নেসার কেড়ি পোকা :
চিত্র: লেসার কেড়ি পোকা
এটিও তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় এরা গৌণ পোকা, এরা চাল ও গম খেয়ে থাকে তবে কিছুটা নষ্ট শস্য দানার আক্রমণ বেশি করে। গুদামজাত সকল পোকার সাধারণ দমন ব্যবস্থা ১ম পত্রের হয় অধ্যারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও দেখুন :