আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মুড়ি তৈরি
Table of Contents
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মুড়ি তৈরি
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মুড়ি তৈরি
মুড়ি দিয়ে অন্যান্য যেসব খাদ্য তৈরি করা যায় তা নিম্নরূপ
মুড়ির মোয়া :
চুলায় কড়াইতে পরিমাণ মতো গুড় ও পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হয়। গুড় গলে গিয়ে ঘন চিট ধরলে তাতে পরিষ্কার মুড়ি নেড়েচেড়ে দিতে হয়। রস শুকিয়ে গেলে কড়াই নামিয়ে গরম থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে গোল করে মোয়া গড়ে নিতে হয়। মোয়া করার সময় পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে বা সরিষার তেল মাখায়ে নিলে ভালো হয়। মোয়াকে সুস্বাদু করার জন্য বিভিন্ন মশলা ব্যবহার করা যায়।
ঝালমুড়ি :
মুড়ি মিকচার বা ঝালমুড়ি অতি প্রিয় একটি খাবার। একটি বাটিতে কিছু মুড়ি নিয়ে তাতে পরিমাণমতো চানাচুর, মরিচ গুঁড়া, বিট লবণ গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, টমেটো কাটা, লেবুর রস ও সরিষার তেল সহযোগে উত্তমরূপে মিশ্রিত করে খাওয়া যায়।
যা সকলের নিকট খুবই প্রিয় এই মিশ্রিত মুড়িকে আবার ভেজেও মুড়ি মিকচার তৈরি করা যায়। বাংলাদেশ বিভিন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি প্যাকেটজাত ঝালমুড়ি উৎপাদন করে থাকে।
মিষ্টি মুড়ি :
পরিমাণমতো মুড়ি চেলে নিতে হয়। বড় কড়াইতে হালকা আঁচে ৫০ গ্রাম ঘি ও ১০০ গ্রাম চিনি দিয়ে চুলায় চাপাতে হয়। চিনি গলে গেলে মুড়ি ঢেলে তাড়াতাড়ি নেড়ে মিশাতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কড়াইয়ের তলায় মুড়ি যেন লাল না হয়ে যায়। ভালোভাবে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে একটি বড় গামলায় ঢালতে হয়।
১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা হলে হাত দিয়ে চাকা ভেঙে মিষ্টি মুড়ি ঝরঝরে করতে হয়। প্রয়োজনে বিভিন্ন রং ব্যবহার করা যায়। মুড়ির চাকা ভাঙার সময় হাতে সরিষার তেল বা ঘি মাখিয়ে নিেেল মুড়ির আঠালো ভাব হাতে লাগবে না বরং মুড়ির স্বাদ বৃদ্ধি পাবে ।
ধান থেকে চিড়া :
ধান থেকে উৎপাদিত চিড়া একটি সুস্বাদু মুখরোচক খাদ্য। সাধারণত চিড়া দ্বারা হালকা নাস্তা জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়। যেমন চিড়ার মোয়া, চিড়া ভাজা চিড়া পোলাও, চানাচুর তৈরিতে ব্যবহার ইত্যাদি। চিড়া ভিজিয়ে তাতে সবরি কলা ও গুড় চটকে খেলে পেট ভালো থাকে ।
চিড়া তৈরি- মুড়ি তৈরির মতো চিড়াও দুই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়, যথা-
১। সনাতন বা দেশি পদ্ধতি
২। আধুনিক বা যান্ত্রিক পদ্ধতি
আরও দেখুন :