আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আতপ চালের গুঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য
Table of Contents
আতপ চালের গুঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য
আতপ চালের গুঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য
চালের গুঁড়ি :
উন্নত মানের আতপ চাল সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে নিতে হয়। তারপর উক্ত চাল পরিষ্কার পানিতে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। চাল ভালোভাবে ভিজে গেলে পানি সরিয়ে নিতে হয়। তারপর উক্ত চাল শিলপাটায় বেটে চালের গুঁড়ি করা হয়। মেশিনেও চালের গুঁড়ি করা যায়। সেক্ষেত্রে চাল ধুয়ে নিলে চলে।
চালের গুঁড়ি রোদে শুকিয়ে ঠান্ডা করে পলিব্যাগে সংরক্ষণ করা যায়। চালের আটা থেকে রুটি, ফিরনি, পিঠা ও বিভিন্ন ধরনের বড়া তৈরি করা যায়।
চিত্র: চালের গুড়ির রুটি
রুটি :
চালের গুঁড়ি বা আটা ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হয়। অতঃপর উক্ত আটা মরান করে ভালো করে গুলে খামির বানাতে হয়। তারপর উক্ত খামির রুটি তৈরি করার জন্য ত হয়। খামির থেকে ছোট ছোট বল বা ৩টি করে সিঁড়ি ও বেলনে বেলে পাতলা ও গোল করে (পমের আটার রুটির মতো) রুটি বানাতে হয়।
গরম তাওয়াতে রুটি ভেজে নিতে হয়। চালের গুঁড়ির রুটি খুব নরম হয় এবং ঠাণ্ডা হলে সহজে ভেঙে যায়। আজকাল রুটি তৈরির জন্য বৈদ্যুতিক মেশিন ব্যবহার করা হয়। এত রুটি তৈরি ও ভাজা-একসাথে সম্পন্ন হয়।
ফিরনি :
ফিরনি তৈরিতে পোলাও চাল (আতপ) চিনি, দুধ, বাদাম, পেস্তাবাদাম, কিসমিস, ছোট এলাচ গুঁড়ো ও গোলাপ জল প্রয়োজন হয়। প্রথমে চাল ৪-৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর শিল পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হয়। দুধ গরম করে চালের গুড়ি মিশিয়ে জ্বালে বসাতে হয়। ঘন ঘন নাড়তে হবে, যাতে ধরে না যায়।
একটু পর সবটা জমে আসবে। বেশ ভালো মতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে চিনি মিশাতে হয়। এলাচ গুঁড়ো, গোলাপ জল, কিসমিস, বাদাম ও পেস্তাবাদাম কুচি দিয়ে ঘি মাখানো ছোট ছোট বাটিতে ঢেলে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করতে হয়।
আরও দেখুন :