ধানের সংজ্ঞা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ধানের সংজ্ঞা

ধানের সংজ্ঞা

 

ধানের সংজ্ঞা

 

ভূমিকা:

দেশে যে কয়টি দানাশস্য উৎপাদন হয় তার মধ্যে ধান হচ্ছে প্রধান খাদ্যশস্য। পৃথিবীর মধ্যে এটি দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য। সারা বিশ্বে ধান উৎপাদনকারী প্রধান দেশগুলো হচ্ছে- চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ভূটান, কেনিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, নেপাল, জাপান, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয় (BBS ২০১৭)।

ধানের সংজ্ঞা

ধান একটি তণ্ডুল বা দানা জাতীয় ফসলের পরিপক্ক ডিম্বাশয়। এটি বীজ নয় বরং একে ক্যরিঅপসিস জাতীয় ফল বলে। এটি গ্রামীনি বা পোয়েসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এ জাতীয় গাছের ফলে একটি বীজ থাকে বলে একে বীজ হিসেবেই ধরা হয়।

চাল ধানের খোসা ছাড়ানোর পর যে অংশ পাওয়া যায় তাকে চাউল বা চাল বলে। ধানের তিন ভাগের এক ভাগ খোসা ও বাকি দুই ভাগ চাল। চালে ৭৯% শর্করা, ৬.৪% আমিষ ও ০.৪% স্নেহ জাতীয় পদার্থ থাকে ।

 

ধানের সংজ্ঞা

 

ধানের বৈশিষ্ট্য :

ধানের বৈজ্ঞানিক নাম অরাইজা স্যাটাইভা (Oryza Sativa)। এর কাণ্ড নরম, এর পাতা ফলক ও খোল দুইটি অংশে বিভক্ত। পত্রফলকের গোড়ায় অরিকল থাকে, শিকড় গুচ্ছমূল এটা একবীজপত্রী ও সস্যল (Alburninious)। এর তিনটি উপজাত রয়েছে। যেমন-

(ক) ইঞ্জিকা : এ ধান গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যেমন- বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান জন্যে। ভাত ঝরঝরে হয়।

(খ) জাপানিকা : এ খানের গাছ খাটো ভাত আঠালো হয়। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও জাপানে এ ধান জন্মে।

(গ) জাভানিকা : এ ধানের কুঁশি কম তাই ফলন কম, ইন্দোনেশিয়াতে জন্মে। মৌসুম ভেদে আমাদের দেশে তিন ধরনের ধান জন্মে হয়ে থাক। যেমন-

(ক) আউশ ধান : এ ধান আবাদের সময় ১৫ই মার্চ থেকে ১৫ই মে (চৈত্র-বৈশাখ) এবং ধান কাটার সময় ১৫ই জুন থেকে ১৫ই আগস্ট (আষাঢ়- শ্রাবণ)। এ ধান আবাদে কম সময় লাগে।

(খ) আমন ধান : এ ধানের চারা রোপণের সময় ১৫ই জুন থেকে ১৫ই আগস্ট (আষাঢ়-ভাদ্র) এবং ধান কাটার সময় ১৫ই অক্টোবর-১৫ই জানুয়ারি (কার্তিক-পৌষ)। ধান আবাদে বেশি সময় লাগে ।

 

ধানের সংজ্ঞা

 

(গ) বোরো ধান : এ ধানের বপনের সময় ১৫ই ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি (পৌষ-মাঘ) এবং ধান কাটার সময় ১৫ই মার্চ থেকে ১৫ই মে (চৈত্র-বৈশাখ)। এটি আবাদে মাধ্যম সময় লাগে ।

আরও দেখুন : 

Leave a Comment