আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ভিনেগার উৎপাদন ,যা খাদ্য এবং পানীয় প্রক্রিয়া অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
খাদ্য এবং পানীয় প্রক্রিয়া -এর সংজ্ঞা
খাদ্য ঃ সাধারণত ভাষায় আমরা যা খাই তাই খাদ্য। কিন্তু খাদ্য বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা যা খাই তাই খাদ্য নয়। যে সমস্ত খাবার খেলে শরীরের বৃদ্ধি ও গঠন, ক্ষয়পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে খাদ্য বলা হয়।
খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ ঃ খাদ্যদ্রব্যের শ্রেণিবিভাগ নিম্নে দেয়া হলো-
(ক) কাজের উপর ভিত্তি করে খাদ্যদ্রব্য তিন প্রকার, যথা—
(i) দেহ গঠনকারী এবং ক্ষয়পূরক খাদ্য,
(ii) তাপ ও শক্তি উৎপাদক খাদ্য এবং
(iii) রোগ প্রতিরোধক খাদ্য।
(খ) উৎস হিসেবে খাদ্য দুই প্রকার, যথা—
(i) উদ্ভিজ খাদ্য ও
(ii) প্রাণিজ খাদ্য ।
(গ) পচনের উপর ভিত্তি করে খাদ্যদ্রব্য তিন প্রকার, যথা—
(ii) সেমি পেরিশেবল ফুড ও
(i) পেরিশেবল ফুড,
(iii) নন-পেরিশেবল ফুড।
(ঘ) উপাদানের উপর ভিত্তি করে খাদ্য পাঁচ প্রকার, যথা—
(i) আমিষ জাতীয় খাদ্য,
(ii) শর্করা জাতীয় খাদ্য,
(iii) চর্বি জাতীয় খাদ্য,
(iv) ভিটামিন জাতীয় খাদ্য ও
(v) খনিজ পদার্থ জাতীয় খাদ্য।
বেভারেজ ঃ বেভারেজ এক ধরনের পানীয়। সাধারণ ভাষায় আমরা প্রত্যেক তরল জাতীয় খাদ্যকে বেভারেজ বলে থাকি ।
ফুড এবং বেভারেজ ঃ ফুড এবং বেভারেজ শব্দটি আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি হোটেল বা রেস্তোরাঁয়। এটা রেস্তোরার প্রধান উপাদান । প্রকৃতপক্ষে খাদ্য এবং পানীয় ব্যতীত রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে কেউ চিন্তায় করতে পারে না।
একটি রেস্তোরাঁয় সব ধরনের খাদ্য এবং সব ধরনের পানীয়কে ফুড এবং বেভারেজ বলে। ব্যাপক অর্থে ফুড এবং বেভারেজ হলো একটি হোটেল বা রেস্তোরার হার্ট বা প্রাণ । মানুষ যেমন তার নিজের হার্ট ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি রেস্টুরেন্ট ফুড এবং বেভারেজ ছাড়া স্থায়ী বা টেকসই হয় না।
বেভারেজ সাধারণত তরল জাতীয় দ্রব্য, যেমন- চা, কফি (Coffee), জুস ইত্যাদি। অপর দিকে মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি হচ্ছে আমিষ জাতীয় খাদ্য ।
আরও পড়ূনঃ