কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য । Carbohydrates

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।

 

কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য

 

কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য । Carbohydrates

কার্বোহাইড্রেট হলো এক শ্রেণির অতি গুরুত্বপূর্ণ জীব অণু। জীবদেহে শক্তির উৎস হলো কার্বোহাইড্রেট। কার্বোহাইড্রেটগুলির আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১। আমাদের খাদ্য তালিকায় বেশির ভাগই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য।

২। আমাদের পরিধেয় বস্ত্র সেলুলোজ থেকে উৎপন্ন সুতা বা নাইলন বা রেয়ন দ্বারা গঠিত।

৩। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঠও সেলুলোজ দ্বারা গঠিত।

সাধারণ অর্থে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ শোণির যৌগকে কার্বোহাইড্রেট বলে। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট শ্রেণির যৌগগুলো কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত। আধুনিক ধারণায়, আলোক সক্রিয় ধর্মবিশিষ্ট পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা যে সকল যৌগের আর্দ্রবিশ্লেষণে অনুরূপ ধর্মসম্পন্ন অ্যালডিহাইড বা কিটোন উৎপন্ন হয় তাদেরকে কার্বোহাইড্রেট বলে ।

কার্বোহাইড্রেটে উপস্থিত অ্যালডিহাইড বা কিটো গ্রুপটি মুক্ত থাকে না। এগুলি অনুমধ্যস্থ -OH গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে হেমিঅ্যাসিটাল বা হেমিকিটালরূপে অবস্থান করে।

 

কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য

 

নিম্নে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

(ক) সংজ্ঞা : 

অপরিহার্য শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্যগুলির মধ্যে কার্বোহাইড্রেট অন্যতম। পুষ্টিবিজ্ঞানী বা খাদ্যবিজ্ঞানীদের মতে মোট কর্মশক্তির ৬০-৭০% শক্তি কার্বোহাইড্রেট থেকে আসে। অন্যান্য খাদ্যের তুলনা কার্বোহাইড্রেট প্রকৃতিতে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় । 

সাধারণভাবে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ শ্রেণির যৌগকে কার্বোহাইড্রে বলে। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট শ্রেণির যৌগগুলো কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত। 

আধুনিক দৃষ্টিকোন থেকে, আলোক সক্রিয় ধর্মবিশিষ্ট পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা সকল যৌগের আর্দ্রবিশ্লেষণে অনুরূপ ধর্মসম্পন্ন অ্যালডিহাইড বা কিটোন উৎপন্ন হয় তাদেরকে কার্বোহাইড্রেট বলে। যেমন গ্লুকোজ ও সুরোজ। 

(খ) কার্বোহাইড্রেটের উৎস:

চাল, গম, গোলআলু, মিষ্টি আলু, সুজি, বার্লি, মধু, যব, চিনি, গুড়, পাকা কলা, সাগু, খেজুর, ছোলা, শাকসবজি, ফলের উপরের খোসা, কচু, কাঁচা কলা, পাকা মিষ্টি ফল প্রভৃতি কার্বোহাইড্রেটো উৎসরূপে কাজ করে।

 

কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য

 

(গ) কার্বোহাইড্রেটের কাজ

১। কার্বোহাইড্রেট তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে।

২। স্বল্প প্রোটিন মূল্যের খাদ্যকে তাপ উৎপাদন থেকে অব্যাহতি দেয়।

৩। প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ প্রভৃতি খাদ্যকে কার্বোহাইড্রেট করে। 

৪। স্নেহজাতীয় খাদ্যকে দহনে সাহায্য করে।

৫। মস্তিষ্কের একমাত্র জ্বালানী হিসেবে কার্বোহাইড্রেট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৬। সেলুলোজ নামক কার্বোহাইড্রেট কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment