নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ । Nutrients And its Classification

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।

 

নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ

 

নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ । Nutrients And its Classification

(ক) নিউট্রিয়েন্টস এর সংজ্ঞা :

যে সকল আহার্য সামগ্রী আমাদের জীবনে সকল মৌলিক ধর্ম পালনে সাহায্য করে কিন্তু পরিপাকে অংশগ্রহণ করে না, তাকে নিউট্রিয়েন্টস বা পরিপোষক (Nutrients) বলে। অর্থাৎ যে সকল পদার্থ পরিপাক ছাড়াই খাদ্যনালীতে শোষিত হয়ে দেহ গঠনে, শক্তি উৎপাদনে ও শারীরবৃত্তীয় কার্য পরিচালনায় অংশ নেয়, তাদেরকে পরিপোষক বলে।

(খ) পরিপোষকের শ্রেণিবিভাগ :

দেহে বিভিন্ন ভূমিকা পালনের প্রয়োজন অনুসারে পরিপোষককে নিম্নরূপ দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। 

১। শক্তি উৎপাদক পরিপোষক :

যে সকল পরিপোষক শক্তি উৎপাদনে অংশগ্রহণ করে, তাদেরকে শক্তি উৎপাদক পরিপোষক বলে। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট বা চর্বি প্রভৃতি ।

 

নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ

 

২। দেহ সংরক্ষক পরিপোষক :

যে সকল পরিপোষক রোগের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে, তাদেরকে দেহ সংরক্ষক পরিপোষক বলে। যেমন ভিটামিন, খনিজ লবণ, পানি প্রভৃতি । এছাড়াও পরিপোষককে নিম্নরূপ দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে।

১। ম্যাক্রো পরিপোষক (Macronutrients)ঃ

শর্করা, চর্বি ও প্রোটিন এবং পানি।

২। মাইক্রো পরিপোষক (Micronutrients)ঃ

ভিটামিন, খনিজ লবণ ও ট্রেস মৌল।

 

নিউট্রিয়েন্ট বা পরিপোষক ও এর শ্রেণিবিভাগ

 

(গ) পরিপোষকের কাজ:

কোষ সংগঠন নিয়ে দেহ গঠিত হয়। প্রোটোপ্লাজম কোষের ভৌত ভিত্তি পরিপোষকগুলি দেহে গৃহীত হয়ে কোষে কোষে সংবহনের মাধ্যমে চালিত হয় এবং প্রোটোপ্লাজমের নানন শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেয়। প্রোটিন দেহকোষের ক্ষয়পূরণ করে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস অস্থি গঠনে অংশ নেয়, লৌহ হিমোগ্লোবিন গঠনে অংশ নেয়। আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। লিপির কার্বোহাইড্রেট শক্তি উৎপাদন করে। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে এবং কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment