আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় সাবস্ট্রেট এর প্রভাব বর্ণনা , যা উৎসেচক অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
সাবস্ট্রেট এর প্রভাব বর্ণনা
সাবস্ট্রেট এর প্রভাব বর্ণনা কর (Mention the effects of substrate ) : এনজাইম অনুঘটিত বিক্রিয়ার শুরুতে যে অণুগুলো থাকে তাকে বলে Substrate কোনো নির্দিষ্ট এনজাইমের এক বা একাধিক সক্রিয় স্থান ( Active site) থাকে। পলিপেপটইট চেইনের ফলডিং এর মাধ্যমে অ্যাকটিভ সাইট সৃষ্টি হয়।
অ্যাকটিভ সাইট ও সাবস্ট্রেটের সম্পর্ক হলো তালা-চাবির মতো। প্রথমে সাবস্ট্রেট অণুগুলো এনজাইমের সক্রিয় স্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এনজাইম সাবস্ট্রেট যৌগ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এনজাইম সাবস্ট্রেট যৌগ ভেঙে নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় এবং এনজাইম অপরিবর্তিতভাবে পৃথক হয়ে যায়।
বেশিরভাগ এনজাইম অণুঘটিত বিক্রিয়াগুলো সাবস্ট্রেটের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। দ্রব্যের ঘনমাত্রা (Substrate concentration) বৃদ্ধি পেলে বিক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং দ্রব্যের ঘনমাত্রা হ্রাস বা কমে গেলে বিক্রিয়া ধীরে হয়।
এনজাইমের কার্যকারিতার তাপমাত্রা ও pH এর ব্যাখ্যা (Explain the temperature and pH on enzyme activity) 8 তাপমাত্রা (Temperature) কোনো বিক্রিয়ায় যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন সাবস্ট্রেটি এবং এনজাইম অনুগুলোর Kinetic energy ও বৃদ্ধি পায় এবং তারা দ্রুত ঘুরাফিরা করতে পারে। এর ফলে তারা একে অপরের সাথে খুব বেশি ধাক্কা খায় এবং বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পায়
পিএইচ (pH) : হাইড্রোজেন আয়নের ঘনত্ব এনজাইমের কার্যকারিতাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এনজাইম অনুঘটিত বিক্রিয়ায় এনজাইম এবং সাবস্ট্রেটের নির্দিষ্ট গ্রুপের আয়োনাইজড এবং ডি-আয়োনাইজড (Dcionized) অবস্থায় থাকতে হয়।
যেমন— কোনো ক্ষারীয় pH এনজাইমের অ্যামাইনো গ্রুপ (NH3) ডি-প্রটোনেটেড এবং অ্যাসিটিক pH-এ এনজাইম এমাইনোফা (NH)”) Protenated (প্রোটিনেটেড) অবস্থায় থাকতে হয়। যখন pH খুব বেশি অ্যাসিডিয় বা ক্ষারীয় তখন হাইড্রোজেন বন্ধন ভাঙবে শুরু করে ফলে সক্রিয় স্থানের আকার পরিবর্তন হতে থাকে। এ পরিবর্তিত সক্রিয় স্থান এবং সঙ্গে সাবস্ট্রেট যুক্ত হতে পারে না ফলে এনজাইমের কার্যকলাপ হ্রাস পায়।
আরও পড়ূনঃ