আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মিষ্টি আলুর সস ও জ্যাম তৈরি করা
Table of Contents
মিষ্টি আলুর সস ও জ্যাম তৈরি করা
মিষ্টি আলুর সস ও জ্যাম তৈরি করা
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও আর্থ সামাজিক অবস্থার কারণে মিষ্টি আলু থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির উপযুক্ত কৌশল সরাসরি চালু করা যাচ্ছে না। এমনকি স্থানীয় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মান প্রমিতকরণ করাও কঠিন। গোল আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুতে ক্যালরি বেশি এবং ভিটামিনের একটি অন্যতম উৎস।
মিষ্টি আলু প্রক্রিয়াজাত করা হলে কুটিরশিল্প জোরদার হবে এবং ছোট ছোট খাদ্য প্ৰস্তুত কারখানা সৃষ্টিসহ নিবিড় শ্রমবাজার সৃষ্টি হবে। কোরিয়ায় মিষ্টি আলু প্রধানত খাবার এবং পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মিষ্টি আলু থেকে হটকেক, দুধ নুডুলস, ক্যান্ডি জাতীয় তৈরিকৃত খাদ্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।
মিষ্টি আলুর বিশেষ গুণ যে এটি সাদা আলু এবং কর্ন বা কাসাভার স্টার্চ-এর সাথে সাদৃশ্যতা ও অন্যান্য গুণাগুণের দিক থেকে মাঝামাঝি মানের।
মিষ্টি আলুর সস :
উপকরণ
চিত্র : মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর সস তৈরি করার জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে
১. প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
২. মিষ্টি আলু ধুয়ে ও খোসা ছাড়িয়ে কেটে টুকরা টুকরা করতে হবে।
৩. টুকরা করা আলু ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করতে হবে ।
৪. মিষ্টি আলুর টুকরা হাত দিয়ে পিষে বা ব্রেন্ডারে কোমল মন্ড তৈরি করতে হবে।
৫. এবার মঞ্চ হাতাওয়ালা পাত্রে রেখে রান্না করতে হবে।
৬. সকল মসলা ও লবণ একটি পাতলা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে ফুটন্ত যণ্ডের ভিতর ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৭. সস প্রয়োজনীয় ঘন না খাওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে হবে।
৮. সসে ভিনেগার দিয়ে মসলার গুটলি বের করে ফেলতে হবে।
৯. সংরক্ষণের জন্য সসে পটাশিয়াম যেটা বাই সালফেট (KMS) বা লেবুর রস মিশাতে হবে
১০. বোতল ঠাণ্ডা হলে ক্যাপ লাগাতে হবে।
১১. এরপর গরম মোম দিয়ে মুখ বন্ধ করতে হবে।
১২. বোতল ঠাণ্ডা স্থানে ৫-৬ মাস সংরক্ষণ করা যাবে।
১৩. এই সসে ভিটামিন এ ও ক্যালরি পাওয়া যাবে।
সর্তকতা:
১. উপকরণ ও উপাদানগুলো সঠিক পরিমাপের নিতে হবে।
২. মঞ্চ অত্যন্ত নরম ও কোমল হতে হবে ।
মিষ্টি আলুর ভাষ
উপকরণ :
১ মিষ্টি আলু ১ কেজি (৪ কাপ)
২. সাইট্রিক এসিড বা লেবুর রস ১০ গ্রাম (২ চা চামচ)
৩ চিনি বা ড় ৯০০-১০০০ গ্রাম (৪ কাপ)
৪ পেকটিন যা পেয়ারার রস ৫ গ্রাম (১ চা চামচ) ২৫০ মিলি
মিষ্টি আলুর জ্যাম তৈরির জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে
১. মিষ্টি আলু ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে।
২. অল্প পরিমাণ পানিতে টুকরা গুলো সিদ্ধ করতে হবে।
৩. এরপর সিদ্ধ মিষ্টি আলুর টুকরাগুলো হাত দিয়ে মেখে বা ব্লেন্ডারে দিয়ে মোলায়েম মণ্ড তৈরি করতে হবে।
৪. চিনি বা গুড় এবং পেয়ারার রস বা পেকটিন দিয়ে চুল্লিতে জ্বাল দিতে হবে।
৫. মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে লেবুর রস বা সাইট্রিক এসিড মিশিয়ে ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।
৬. রিফ্লাক্টোমিটার দ্বারা এর ঘনত্ব ৬৭ ভাগে এলে জ্বাল বন্ধ করে চুলা থেকে নামাতে হবে।
৭. রিফ্রাক্টোমিটার না থাকলে দেশীয় পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হবে। বাটিতে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে ১ ফোঁটা জ্যাম ছেড়ে দিতে হবে। জ্যাম যদি পানিতে জমে যায় তাহলে বুঝতে হবে চুলা থেকে নামানোর সময় হয়েছে।
৮. জ্যাম জীবাণুমুক্ত বোতল বা কাঁচের পাত্রে ভর্তি করে ঠাণ্ডা করতে হবে।
৯. ঘন জ্যাম ঠাণ্ডা হওয়ার পর বোতলের মুখে গরম মোম ঢেলে দিতে হবে।
১০. মোম শক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
১১. কাগজের সাহায্যে কাঁচের পাত্রের মুখ বন্ধ করে ঢাকনা এঁটে দিতে হবে।
১২. এই জ্যাম ১ বছরের বেশি সংরক্ষণ করা যায়।
১৩. মিষ্টি আলুর জাত কমলাসুন্দরী, বারি মিষ্টি আলু-৪ ও ৫ ব্যবহার করলে এই জ্যামে ভিটামিন এ ও ক্যালরি পাওয়া যায় ।
সতর্কতা :
১. জ্যাম জমেছে কি না এ পরীক্ষাটি সঠিকভাবে করতে হবে।
২. পেকটিন জ্যাম জমাতে সাহায্য করে তাই উন্নতমানের পেকটিন দিতে হবে।
আরও দেখুন :