Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

ভুট্টার জাত ও চাষের মৌসুম

ভুট্টার জাত ও চাষের মৌসুম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ভুট্টার জাত ও চাষের মৌসুম

ভুট্টার জাত ও চাষের মৌসুম

ভুট্টার জাত ও চাষের মৌসুম

আমাদের দেশে ভূটানা বেশ কয়েকটি লাক রয়েছে। এর মঞ্চে বার (বি.এ., আপু গাজীপুর উদ্ভিদ প্রজন্ম বিভাগ  উদ্ভিদজাত সমুহ নিম্নরুপ :

 

বিঃদ্রঃ ফ্লিন্ট বলতে চ্যাপ্টা আকৃতি এবং ডেন্ট বলতে দাতের মতো গোলাকৃত বুঝানো হয়েছে ।

উপরে বর্ণিত ভুট্টার জাত ছাড়াও আরও দুইটি বিশেষ জাতের ভুট্টার চাষ হয়ে থাকে।

১) মিষ্টি ভুট্টা বা সুইট কর্ন : এটি একটি বিশেষ জাতের ভুট্টা যার মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে তাকে মিষ্টি ভুট্টা বলে। এই ভুট্টা সবজি হিসাবে মাছ ও মাংসের সাথে খাওয়া যায়। মিষ্টি ভুট্টা সরাসরি কোটা বা টিনে প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা যায়।

২) বেবি কর্ন : এটি একটি বিশেষ জাতের ভুট্টা। এ জাতের ভুট্টা কচি অবস্থায় খাওয়া হয় বলে তাকে বেবি বলে। এই ভুট্টা কচি অবস্থায় খোসা ছিলে টিনজাত করে রপ্তানি করা যায়। আমাদের দেশে উৎপাদিত বেবি কর্ন চায়নিজ রেস্তোরাঁয় বিক্রি করা হয়।

 

 

ভুট্টার মৌসুম :

ভুট্টা রবি ও খারিফ উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। রবি মৌসুমে কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণের ৩য় সপ্তাহ অর্থাৎ নভেম্বর ১ম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর এর ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত ভুট্টাবীজ বপন করা যায়। খরিপ মৌসুমে ফাল্গুনের ১ম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভুট্টাবীজ বপন করা যায় ।

ভুট্টার দানার গঠন :

ভুট্টা দানা বা বীজ, ধানের মতো ক্যারিওপসিস জাতীয় ফল। তবে ভুট্টায় ধানের মতো কোন তুষ নেই। এতে ফলত্বক ও বীজত্বক একসাথে মিশে থাকে তাই ফল ও বীজ আলাদা করে চেনা যায় না। বীজ চ্যাপ্টা ও আয়তকার। বীজের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো-

১. বীজ ত্বক : বীজত্বক ফলত্বক মিলে ভুট্টা দানাকে ঘিরে একটি সোনালি অর্ধস্বচ্ছ আবরণ সৃষ্টি করে। এ স্তর দুটি অবিচ্ছেদ্য অর্থাৎ আলাদা করা যায় না।

২. অন্তর্বীজ : বীজাতকের ভিতর সময় অংশকে অন্তর্বীজ বা কার্নেল বলে। অন্তর্বীতের মধ্যে সস্য ও ভ্রূণ থ

 

চিত্র : ভুট্টা বীজের বিভিন্ন অংশ

৩. সস্য বা আন্ডোম্পার্ম : অন্তর্বীজের অধিকাংশ জুড়ে থাকে সস্য। সস্যে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ ও কিছু আমিষ থাকে।

৪. ভ্রূণ : ভুট্টার ত্বকের উপর ত্রিকোণাকার একটি সাদা অংশ দেখা যায়। একে ডেলটয়েড অবতল বলে। এ অবতলে ভ্রূণ অবস্থান করে। ভ্রূণ, ভ্রূণাক্ষ ও বীজপত্র নিয়ে গঠিত। বীজপত্র সস্য থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে ভ্রূণকে সরবরাহ করে। বীজপত্রের নিচের পাতলা স্তরকে এপিথেলিয়াল স্তর বলে।

বীজপত্রের উপর ভ্রূণমুকুল ও ভ্রূণ মুকুলাবরণী বা কলিওপটাইল এবং ভ্রূণাক্ষের নিচে ভ্রূণমূল বা ভ্রূণমূলাবরণী বা কলিওরাইজা থাকে ।

আরও দেখুন : 

Exit mobile version