আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বিভিন্ন মশলার নাম, চাষ মৌসুম ও জাত
বিভিন্ন মশলার নাম, চাষ মৌসুম ও জাত
ভূমিকা :
ভারতীয় উপমহাদেশকে একসময় মশলার দেশ বা সুগন্ধি গাছের দেশ বলা হতো। শুধু ভারতীয় উপমহাদেশই নয়, এশিয়া মহাদেশজুড়ে ছিল মসলা ও সুগন্ধি গাছপালার প্রাচুর্য। চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশজুড়ে পাওয়া যেত নানা রকম সুগন্ধি গাছ বা মশলা।
বাংলাদেশে প্রায় ৭০ প্রজাতির সুগন্ধি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের প্রধান মসলাগুলো হচ্ছে পিয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, হলুদ ও ধনিয়া। বিগত ২০১৬-২০১৭ সালে দেশে মোট ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার একর জমিতে ২৫ লক্ষ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন মশলার উৎপাদন হয়। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় পিয়াজ (১৮.৬৬ লক্ষ মেট্রিক টন)। এর পরই রসুন উৎপাদন হয় ৪.২৫ লক্ষ মেট্রিক টন এবং তৃতীয় স্থানে আছে হলুদ ১.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন ।
বাংলাদেশের প্রধান ৬টি মসলা ছাড়া আর কোন মসলা বা সুগন্ধি গাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় না। শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই পেঁয়াজ ও মরিচ উৎপাদিত হয়। অথচ অন্যান্য প্রায় প্রতিটি মসলাই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার সুযোগ আছে। প্রতি বছর দেশের আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণে এ সকল মসলা গাছ তাদের ঔষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে । আমাদের দেশে মসলা ও সুগন্ধি গাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সঠিকভাবে আবাদকৃত গাছগুলো হচ্ছে-
আরোও কিছু সুগন্ধি গাছ আছে যেগুলো এদেশে অল্প পরিমাণে হয় বা বনে-জঙ্গলে পাওয়া যায় যেমন-
১ কারিপাতা
২ পোলাও পাতা
৩ লেবু ঘাস বা লেমন গ্রাস
৪ ঘাগড়া ইত্যাদি ।
অন্য দেশ হতে আমদানি করে আমরা যে সকল মসলা খেয়ে থাকি সেগুলো হলো-
১ এলাচ জিরা
২ শা জিরা
৩ জয়ফল
৪ জৈত্রী
৫ লবঙ্গ
৬ কাবাব চিনি জাফরান
৭ গোলমরিচ
বিভিন্ন মশলার নাম, চাষ মৌসুম ও জাত
বেশিরভাগ মসলাই রবি মৌসুম বা শীতকালে জন্মে থাকে। নভেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ঋতুতে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা কম থাকে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী সেচের দরকার হয়। আকাশ পরিষ্কার থাকে বৃষ্টি বাদল কম হয় এবং রোগবালাই কম হয় বলেই মসলা চাষের উপযোগী হয়। তবে কিছু কিছু মসলা আছে তা সারা বছরই জন্মে থাকে।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার মশলার নাম ও চাষ মৌসুম বর্ণনা করা হলো :
আরও দেখুন :