আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নারিকেল সবজি খাবার। নারিকেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় খাদ্য প্রস্তুত করা যায়। খাদ্যদ্রব্যের সাথে নারিকেল কোরা বা নারিকেলের দুধ যোগ করে খাদ্যকে আকর্ষণীয়, সুস্বাদু ও গুণেমানে উন্নত করা যায়।
নারিকেল সবজি খাবার
আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল যথা নোয়াখালী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা ইত্যাদি অঞ্চলে খাবারের সাথে নারিকেল যোগ করা ঐতিহ্যের ব্যাপার।
তাছাড়া বিভিন্ন দেশীয় অনুষ্ঠান ও পূজা-পার্বণে নারিকেলের সন্দেশ, পিঠা, পায়েস, ক্ষীর ও অন্যান্য মিষ্টান্ন ব্যাপক হারে ব্যবহার হয়ে থাকে। কনফেকশনারি দ্রব্যাদি তৈরিতে নারিকেলের প্রয়োজন হয়। নিম্নে নারিকেল সহযোগে কিছু খাবারের নাম দেওয়া হলো :
নারিকেল সবজি খাবার
এ খাবার তৈরিতে নিম্নলিখিত সবজিগুলো লাগবে যেমন- চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ডাঁটা, চিচিঙ্গা, বরবটি, আলু ও মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
১. কয়েকটি সবজি মিলে – ১ কেজি
২. ছোট নারিকেল – ১টি
৩. পেঁয়াজ – ৫/৬টি
8. তেল – ৫০ গ্রাম
৫. তেজপাতা – ২/৩টি
৬. টকদই – অর্ধেক কাপ
৭. চিনি – অর্ধেক চা চামচ
৮. লবণ – পরিমাণমতো
৯. হলুদ, মরিচ, জিরা – পরিমাণমতো
রান্না করার নিয়ম :
প্রয়োজনমতো সবজি কুটে টুকরো টুকরো করে নিতে হবে। চুলায় আন্দাজমতো পানি বসাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে লবণ ও হলুদ পরিমাণমতো দিতে হবে। সবজিগুলো ঐ পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। নারিকেল ভেঙে দুইটি অংশের একটি নারিকেলের কোরার সাথে মরিচ, পেঁয়াজ ও জিরা দিয়ে বেটে রাখতে হবে। বাকি নারিকেল কুরিয়ে আলাদা রাখতে হবে।
সবজিগুলো সিদ্ধ হলে তাতে বাটা মসলা, টকদই, তেল ও তেজপাতা দিয়ে ভাল করে নেড়ে দিতে হবে। নামাবার আগে বাকি নারিকেল কোরা দিয়ে ঢেকে নামাতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
নারকেলের দুধও সপ্তাহে দু তিন দিন ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন। কারণ অন্যান্য দুধের মত এই দুধেও আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের সুস্থ ভাবে বেছে থাকার জন্য খুবই দরকারি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে নারকেলের দুধে।
আরও দেখুন :