আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নারিকেলের ক্যান্ডি বা চকলেট
Table of Contents
নারিকেলের ক্যান্ডি বা চকলেট
নারিকেলের ক্যান্ডি বা চকলেট
ক্যান্ডি বা চকলেট ২ ধরনের। যথা-
১) শক্ত ক্যান্ডি (Hard Candy) – চকলেট
২) নরম ক্যান্ডি (Soft Candy) – ফ্রুট ক্যান্ডি
ফ্রুট-ক্যান্ডি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও কন্দাল (Tuber) সবজি থেকে তৈরি ১ ধরনের শুষ্ক মিষ্টি খাদ্য। শক্ত ক্যান্ডি বা চকলেট হচ্ছে ফল বা সবজিকে টুকরো টুকরো করে ঘন চিনির দ্রবণে ডুবিয়ে রেখে তারপর সোলার ড্রায়ার বা যান্ত্রিক ড্রায়ারে শুকানো হয়। যদি উৎপাদন প্রক্রিয়া সঠিক থাকে এবং বায়ুরোধী করে সিল করা হয় তবে এই ক্যান্ডি বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। প্রয়োজন হলে প্রিজারভেটিভ, রং ও সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।
নারিকেলের ক্যান্ডি তৈরির উপকরণ
১. ভাতের মল্ট
২. গ্লুটেন
৩. নারিকেলের কোরা
৪. চিনি
৫. সাইট্রিক-এসিড
৬. বাদাম
৭. র্যাপিং কাগজ
৮. পলিব্যাগ
নারিকেল ক্যান্ডি প্রস্তুতকরণ
১) প্রথমে গ্লুটেন যুক্ত ভাতের মল্ট তৈরি করে নিতে হবে।
২) এরপর নারিকেলের শাঁস বা কোরা পিষে দুধ বের করে নিতে হবে।
৩) ক্যান্ডি তৈরির জন্য ৫০ ভাগ নারিকেলের দুধ, ২৫ ভাগ চিনি ও ২৫ ভাগ ভাতের মল্ট মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে চুলায় তাপ দিয়ে দ্রবীভূত করতে হবে।
৪) মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামাবার পূর্বে সাইট্রিক-এসিড দিয়ে মিশ্রিত করে পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
৫) এখন মিশ্রণটির সাথে পরিমাণমতো বাদাম যোগ করে সমস্বত্ব মিশ্রণ তৈরির জন্য পুনরায় জ্বাল দিতে হবে ।
চিত্র : নারিকেলের ক্যান্ডি
৬) এই মিশ্রণটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ক্যান্ডি তৈরির মোল্ড বা খাঁজে রেখে উপরিভাগ মসৃণ তৈরি করতে হবে।
৭) ছুরি দিয়ে ২/২ সেন্টিমিটার আকারে কেটে র্যাপিং কাগজে মুড়ে পলিপ্রপাইলিন ব্যাগে স্বাভাবিক তাপে সংরক্ষণ করতে হবে।
৮) এভাবে প্রস্তুতকৃত ক্যান্ডি ৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়।
আরও দেখুন :