আজকের আলোচনার বিষয়ঃ চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কে । যা খাদ্য রসায়নের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের অর্ন্তভুক্ত।
Table of Contents
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কে । Fat soluble Vitamin K
(ক) ভিটামিন কে এর রাসায়নিক গঠন:
ভিটামিন কে এর দুটি রূপ রয়েছে। যেমনঃ ভিটামিন- Ki 2 ভিটামিন- Ka । ভিটামিন- K) ফাইলোকুইনোন বা ফাইটোন্যাডিওন নামে পরিচিত। ভিটামিন- Ki একটি ন্যাফথাকুইনোন গ্রুপ এবং একটি ফাইটল গ্রুপ এর সমন্বয়ে গঠিত। যেমন
ভিটামিন- K, এ ফাইল রেডিকেলটি, ন্যাফথাকুইনোন র্যাডিকেলের C-3 কার্বনের সাথে যুক্ত থাকে আবার ভিটামিন-K2 ফারনোকুইনোন বা ফ্ল্যাভিনোকুইনোন বা মেনাকুইনোন নামে পরিচিত। ভিটামিন K একটি ন্যাফথাকুইনোন র্যাডিকেল এবং একটি ডাইফারসিনাইল রেডিকেলের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন
ভিটামিন কে এর ন্যায় এক্ষেত্রেও ডাইফারসিনাইল গ্রুপটি, ন্যাফথাকুইনোন গ্রুপের C-3 কার্বনের সাথে
যুক্ত থাকে।
(খ) ভিটামিন কে এর উৎস:
সকল প্রকার সবুজ শাকসবজি তৈল, টমেটো, চর্বি, যকৃৎ, শুঁটকি মাছ, আলফা আলফা গুলু ইত্যাদি ভিটামিন K এর প্রধান উৎস। উদ্ভিদের সবুজ পাতায় এবং গাঁজানো খাবারে উভয় প্রকার ভিটামিন পাওয়া যায়। বিজ্ঞানী Dam উভয় উৎস তথা আলফা আলফা গুল্ম ও শুটকি মাছ হতে কেলাসিত
উপাদানদ্বয়কে যথাক্রমে ভিটামিন K ও ভিটামিন K নামে অভিহিত করেন।
(গ) ভিটামিন কে এর সাধারণ ধর্মাবলী :
রাসায়নিকভাবে ভিটামিন K হলো- 2-মিথাইল-3 ফাইটাইল-1,4 ন্যাফথাকুইনোন ও এর আণবিক সংকেত হলো C H O এবং ভিটামিন K হলো- 2-মিথাইল-3- ডাইফারনেসাইল 1.4 ন্যাফথাকুইনোন ও এর আণবিক সংকেত হল C HO ।
১। বিশুদ্ধ ভিটামিন K হলুদ বর্ণের সান্দ্র তৈল জাতীয় পদার্থ কিন্তু ভিটামিন K, হলুদ বর্ণের কেলাসাকার পদার্থ।
২। চর্বি ও চর্বি দ্রাবকে দ্রবণীয় কিন্তু পানিতে অদ্রবণীয়।
৩। ভিটামিন- K, আলোতে নষ্ট হয়ে যায় তাই একে কালো বর্ণের বোতলে রাখা হয়।
৪। ভিটামিন K এর গলনাংক 53 54°C
৫। ভিটামিন K আলোতে নষ্ট না হলেও তাপ, বাতাস ও আর্দ্রতায় নষ্ট হয়ে যায়।
৬। ভিটামিন K পানিতে অদ্রবণীয় এবং রান্নাতে এটি খুব কম পরিমাণে নষ্ট হয়।
(ঘ) জৈবিক ক্রিয়া:
১। ভিটামিন K প্রাণিদেহের স্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মূলতঃ ভিটামিন K প্রাণিদেহে প্রোগ্রোমিন নামক এক প্রকার প্রোটিন তৈরী যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
২। পিত্তরস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩। সদ্য জাত শিশুর অস্ত্র জীবাণুশূন্য থাকে বলে দেহে ভিটামিন K তৈরি হওয়ারকোনো সুযোগ থাকে না। ফলে শিশুর ভিটামিন K এর প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
অভাবজনিত রোগ
১। ভিটামিন K এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না।
২। পিত্তরস নিঃসরণ ব্যাহত হয়।
৩। ভিটামিন K এর অভাবে অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস হতে পারে।
আরও দেখুনঃ