Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

বিভিন্ন বয়সের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা

বিভিন্ন বয়সের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বিভিন্ন বয়সের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা

বিভিন্ন বয়সের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা

বিভিন্ন বয়সের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা

(ক) ০-৬ মাস বয়সের জন্য মায়ের দুধই উৎকৃষ্ট খাদ্য। পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর সব পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে।

(খ) ৬-১২ মাসের শিশুর দৈনিক খাদ্য তালিকা : মাতৃদুগ্ধের সাথে শিশুকে নিচের খাদ্যগুলো
খাওয়াতে হবে।

 

(গ) ১-৩ বছরের বাচ্চাদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

মাতৃদুগ্ধের সাথে শিশুকে নিচের খাদ্যগুলো খাওয়াতে হবে।

 

 

(ঘ) ৪-৬ বছরের বাচ্চাদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

(ঙ) ৭-৯ বছরের বাচ্চাদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

(চ) ১০-১৪ বছরের বাচ্চাদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

(ছ)১৪-১৮ বছরের কিশোর/কিশোরীদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

(জ) পূর্ণবয়স্ক নারীদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা :

 

 

(ঝ) পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

(ঞ) গর্ভবর্তী নারীদের দৈনিক খাদ্য তালিকা :

 

 

উপরোক্ত খাদ্য তালিকা শরীরের গঠন, বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ও সুষম খাদ্য। উক্ত তালিকার খাদ্য থেকে আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন সঠিক পরিমাণে পাওয়া যাবে। সাধারণভাবে কোনো খাদ্য তালিকায় যত বেশি ধরনের খাদ্য বস্তু থাকবে উক্ত খাদ্য ততবেশি রুচিপূর্ণ ও সুষম হবে।

খাদ্য জীবের জন্য অপরিহার্য। শরীরের ক্ষয়পূরণ, স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং কর্মশক্তির জন্য আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। খাদ্যের প্রধান উৎস হলো কৃষি। প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানসমূহের মধ্যে কেবলমাত্র পানি ও লবণই বাহির থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। অপরাপর সকল খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় কৃষির ওপর। কৃষি বলতে আমরা কৃষির ৪টি উপখাত বুঝে থাকি। এ খাতগুলো হলো-

(ক) ফসল উপখাত

(খ) প্রাণী সম্পদ উপখাত

(গ) বনজ সম্পদ উপখাত

(ঘ) মৎস্য সম্পদ উপখাত ।

উপরোক্ত ৪টি উপখাত থেকে আমরা খাদ্যের সব উপাদানগুলো পেয়ে থাকি। ধান, গম, ভুট্টা, যব, জোয়ার, বাজরা, চীনা, কাউন ইত্যাদি প্রধানত শর্করা বা শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য। অল্প পরিমাণ, আমিষ, খনিজ লবন এবং ভিটামিনও এসব খাদ্যে পাওয়া যায়। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধে আছে আমিষ ও তেল জাতীয় খাদ্য। টাটকা শাক-সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, সহজলভ্য আমিষ এবং খনিজ লবণ।

বিভিন্ন প্রকার ফলমূল সরবরাহ করে ভিটামিন, খনিজ লবণ ও বিবিধ খাদ্য উপাদান। সরিষা, তিল, রাই, সয়াবিন, সূর্যমূখী, চীনাবাদাম, রেড়ি প্রভৃতি গাছের বীজ থেকে স্নেহজাতীয় উপাদান পাওয়া যায়। ডালডা, বনস্পতি, মার্জারিন প্রভৃতি কৃত্রিম ঘি ও মাখনের উৎসও উদ্ভিজ্জ তেল।

আখ, বীট, তাল, খেজুর থেকে শর্করা পাওয়া যায়। চা গাছের পাতা এবং কোকো ও কফির বীজ থেকে তৈরি করা হয় উত্তম পানীয়।কচি নারিকেলের পানি একটি সুস্বাদু ও উৎকৃষ্ট পানীয়।

খাদ্যদ্রব্যকে মুখরোচক ও সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার হয় পেঁয়াজ রসুন, হলুদ, মরিচ, আদা, ধনিয়া, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা ইত্যাদি উদ্ভিদের বীজ বা গাছের অংশ। মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি সরবরাহ করে শরীরের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন বা আমিষ। বনজ সম্পদ থেকে আমরা পাই ফলমূল, জ্বালানি ও আসবাবপত্র ইত্যাদি।

আরও দেখুন : 

Exit mobile version