খাদ্য বিষয়ক ডাউনলোড [ Download] : এই খাতের বিভিন্ন তথ্যাদি শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ডাউন লোড করার জন্য এক একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। এসব সংগ্রহশালার কিছু আমাদের আপলোড করা নয়। এই সবই প্রকাশিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা। তাই এই বিষয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান কোন বা দায়িত্ব গ্রহণ করে না।
Table of Contents
খাদ্য বিষয়ক ডাউনলোড [ Download]
খাদ্য বিষয়ক বই
রান্না খাদ্য পুষ্টি – অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর
অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরের রান্না খাদ্য পুষ্টি বইটি আমাদের রেসিপি বাইবেল বলা যায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বইটি ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে একবারও রান্না না করা অনেক প্রবাসীকে রান্না শিখিয়েছে এই বই। খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দীর্ঘকালের অধ্যাপনায় তিনি খাদ্য ও পুষ্টি সম্বন্ধে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সেই অভিজ্ঞতার ফসল রান্না খাদ্য পুষ্টি বইটি। লেখকের চিন্তা-ভাবনা-অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশে রান্না খাদ্য পুষ্টি বই-এর মাধ্যমে রান্না একটি শিল্পের মর্যাদায় আসীন হয়েছে।
ডাউনলোড করুন : রান্না খাদ্য পুষ্টি – অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর – Ranna Khaddo Pushti – Siddika Kabir
সোর্স: murchana.com
টমি মিয়া’স কিচেন – মোহাম্মদ আজমান মিয়া
রান্নার জগতে টমি মিয়া অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। মোহাম্মদ আজমান মিয়া, সংক্ষেপে যিনি টমি মিয়া নামে পরিচিত। রান্নাকে তিনি নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। ব্রিটিশ বাংলাদেশী এই তারকা রন্ধনশিল্পীর একটি দুর্দান্ত জনপ্রিয় বই হচ্ছে টমি মিয়া’স কিচেন। এই বইটিতে টমি মিয়ার পুরোনো সেরা রেসিপিগুলোর পাশাপাশি নতুন মজাদার সব রেসিপি যুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র সাধারণ খাবারই নয়, বিশ্বের নামি-দামী ব্যক্তিত্বের জন্য তৈরিকৃত খাবারের রেসিপিও এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরা ও টেলিভিশন শো এর জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষামূলক রেসিপি।
ডাউনলোড করুন টমি মিয়া’স কিচেন ১, Tommy Miah’s Jitchen1
সোর্স: murchana.com
রসনা – আয়েশা আবেদীন আফরা
আপনি যদি শুধুমাত্র মাছের ওপর স্পেশাল কোন রেসিপির বই চান, তাহলে “রসনা” বইটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি বই। আয়েশা আবেদীন আফরার লেখা এই বইটিতে মাছের ওপর প্রায় ৬৭ টি রান্নার কৌশল শেখানো হয়েছে। বাঙালী গৃহীণিদের জন্য এটি আসলেই দুর্দান্ত একটি বই। বইটিতে মাছ রান্নার নিয়মগুলো বেশ সহজ ও গোছানো পদ্ধতিতে লেখা হয়েছে। যা আপনার বোঝার জন্য অনেক সহজ হবে।
পাশাপাশি কোন উপকরণ কতটুকু ব্যবহার করতে হবে তাও লেখা রয়েছে ধারাবাহিকভাবে। এই বইটিতে বাঙালী খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর শুধু মাছের ওপর এতগুলো রেসিপি জানলে আপনি নিশ্চয় অন্যদের থেকে আলাদা হবেন।
ডাউনলোড করুন রসনা – আয়েশা আবেদীন আফরা
সোর্স: murchana.com
রান্না শেখার চিট শীট – রিপন চন্দ্র সরকার
এটি রান্না শেখার কোন বই না। এটি মূলত একটি চিট শীট। তবে রান্না শেখার জন্য এই শীটটি আপনাকে ভীষণভাবে সহায়তা করতে পারে। অনেকেই আছেন, যারা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সাধারণ রান্নাগুলো বেশ ভালাে জানলেও বিশেষ কোন রান্না-বান্না খুব একটা পারেন না। তাদের কথা চিন্তার করেই এই চিট শীটটি তৈরি করা।
চিট শীটটি তৈরি করেছেন রিপন সরকার। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি এতে রয়েছে অভিজাত সব খাবার রান্নার কৌশল। এখানে বর্ণিত খাবারগুলো আপনার জিভে পানি আনার জন্য যথেষ্ট। একই উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন পদের রান্নার দুর্দান্ত সব কোশল এই শীটে আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো নিয়মই তুলনামূলক সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ডাউনলোড করুন রান্না শেখার চিট শীট – রিপন চন্দ্র সরকার
খাদ্য বিষয়ক একাডেমিক পেপার ও রিপোর্ট:
বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা : একটি পর্যালোচনা – কাজী সাহাবউদ্দিন
প্রফেসরিয়াল ফেলো, বিআইডিএস।
বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষা, খণ্ড ৩০ বার্ষিক সংখ্যা ১৪১৯ তে প্রকাশিত।
পটভূমি :
বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের কাছে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত— গুরুত্বপূর্ণ। নীতি নির্ধারকের কাছেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে বোঝায় একটি স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী বা কর্মময় জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণকল্পে দেশের সকলের জন্য সকল সময়ে পর্যাপ্ত খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির সুযোগ থাকা।
এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তাকে জাতীয় ও ব্যক্তিগত প্রেক্ষিত থেকেও ব্যাখ্যা করা যায়। জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা মানে হলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকা। আর ব্যক্তি ও পরিবার পর্যায়ে এর অর্থ সমাজের সকলের জন্য খাদ্য চাহিদা পূরণের সুযোগ থাকা (তাদের নিজস্ব উৎপাদন থেকে, বাজার থেকে অথবা সরকারের সরবরাহ বা হস্তান্তর থেকে)।
খাদ্যের পর্যাপ্ত লভ্যতা ও তা প্রাপ্তির সুযোগ বা ক্ষমতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় হলেও পর্যাপ্ত শর্ত নয়। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তার তৃতীয় উপাদান হলো খাদ্যের কার্যকর জৈবিক ব্যবহার, যা অনেকগুলো বিষয় যেমন পুষ্টি, শিক্ষা, উন্নত জনস্বাস্থ্য সেবা ও পয়:নিষ্কাশন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে খাদ্য নিরাপত্তার এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন খাদ্য লভ্যতা বা প্রাপ্যতা, খাদ্য প্রাপ্তির সুযোগ বা ক্ষমতা এবং খাদ্যের কার্যকর ব্যবহারকে অবশ্যই পরস্পরের পরিপূরক হতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য ও পুষ্টিগত নিরাপত্তাসহ কৃষি উন্নয়নের উপর বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের কারণে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ চমকপ্রদ সফলতা দেখিয়েছে। আশির দশক থেকে ধানের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। সত্তরের দশকের শুরুতে ৭৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রকট। বর্তমানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬০ মিলিয়ন হলেও দেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে।
খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধারাবাহিক সফলতা অর্জন করলেও এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ (জমি ও পানি) হ্রাস এবং উৎপাদনশীলতার অবনতি ইত্যাদি কারণে ভবিষৎ কৃষি প্রবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। অধিকন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, কৃষি গবেষণায় অপ্রতুল বিনিয়োগ ও কৃষি স¤প্রসারণ সেবার অবনতি আগত দশকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার সমস্যাকে আরও সংকটময় করে তুলবে। সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে অর্জিত অগ্রগতিকে ধরে রাখা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বন্যা, সাইক্লোন ও খরা ইত্যাদির উপর অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য উৎপাদন এখনও বহুলাংশে নির্ভরশীল, যা প্রায়শ উৎপাদন হ্রাস ও অপর্যাপ্ত খাদ্য লভ্যতার কারণ হয়ে থাকে। অধিকন্তু শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য খাদ্যের প্রাপ্যতা বাড়েনি। দেশের ৩০ শতাংশের বেশি লোক খাদ্য- ভোগভিত্তিক দারিদ্র্য রেখার নিচে বাস করে। জীবনযাপনের অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন মেটানোসহ দৈনিক ২,১২২ কিলো ক্যালরি খাদ্য চাহিদা পূরণের সামর্থ্য তাদের নেই।
খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ক্যালরি ঘাটতি ছাড়াও বাংলাদেশের জনগণের স্বাভাবিক খাদ্য অত্যন্ত ভারসাম্যহীন অর্থাৎ সুষম নয় (পর্যাপ্ত চর্বি, তেল ও প্রোটিন ভোগসহ)। নারী ও শিশুদের পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের প্রয়োজন বেশি হওয়ায় তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কৌশলের পর্যালোচনা বা পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি ও সরকারি খাদ্য বণ্টন সম্পর্কিত বিরাজমান ও নতুন সমস্যা মোকাবিলা ইত্যাদি বিষয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২০০৭-০৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সময় খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অসহায় দরিদ্র জনগণের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সমস্যা সমাধানকল্পে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা এবং বিদ্যমান খাদ্য সংগ্রহ,
গুদামজাতকরণ ও বণ্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক মনোযাগ পেয়েছে।
এ প্রবন্ধে খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষ করে খাদ্য লভ্যতা ও খাদ্য প্রাপ্তির সুযোগ সম্পর্কিত নীতিমালার বিকাশ, প্রবণতা ও অবস্থা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এই আলোচনা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিকল্প নীতি ও প্রয়োজনীয় সরকারি পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণে সাহায্য করবে।
প্রবন্ধের ডাউনলোড লিংক :বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা : একটি পর্যালোচনা – কাজী সাহাবউদ্দিন
খাবারের ছবি ডাউনলোড:
আরও দেখুন: