আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করার জন্য নিরাপত্তা নিয়ম এবং বিধি ব্যাখ্যা ,যা খাদ্য প্রাণরসায়ন নিরাপত্তা অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করার জন্য নিরাপত্তা নিয়ম এবং বিধি ব্যাখ্যা
জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করার জন্য সাধারণ বিধি বা নিয়মগুলো লিপিবদ্ধ করা হলো—
(i) জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
(ii) যেহেতু জৈব প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক দ্রব্যও ব্যবহৃত হয়। সেহেতু ল্যাবসীট পরিধান করা উচিত ।
(iii) কোনো রাসায়নিক দ্রব্যাদি সংগ্রহ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্যথায় রাসায়নিক দ্রব্য নষ্ট হতে পারে কিংবা মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
(iv) বিকারক বা কোনো রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহ করার পর তাতে লেবেল লাগানো উচিত। যাতে অন্যরা বুঝতে পারে। সংগ্রহ করার পর মুখ বন্ধ করে সাথে সাথে যথাস্থানে রেখে দিতে হবে।
(v) জৈব প্রক্রিয়ায় যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ব্যবহার করা উচিত।
(vi) গাঢ় অ্যাসিড ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনো প্রকার বিপদ না ঘটে ।
(vii) জৈব ক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার শেষে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে এবং যথাস্থানে রাখতে হবে।
(viii) কাজ শেষে পেপার বা কাগজের টুকরা অথবা অন্যান্য আবর্জনা থাকলে তা যথাস্থানে ফেলতে হবে।
(ix) গাঢ় অ্যাসিড বা ক্ষার টেবিল বা মেঝেতে ফেলা উচিত নয়।
(x) তরল রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষেত্রে পিপেট ফিলার ব্যবহার করা উচিত।
(xi) জৈব ক্রিয়ার সময় ঢিলা পোশাক হতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
(xii) মহিলা হলে চুল হতে বিপদ ঘটতে পারে বলে তাদের চুল বেঁধে কাজ করতে হবে।
(xiii) জুতা পরিধান করতে হবে। খালি পা বা স্যান্ডেল বিপদজনক হতে পারে।
(xiv) কোনো জৈব দ্রাবক যেমন— বেনজিন, ইথার, অ্যাসিটোন ইত্যাদি ব্যবহার করার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন এতে আগুন না ধরে।
(xv) প্রক্রিয়ামতো স্থানে খাওয়া, পান করা এবং ধূমপান সর্বদা পরিহার করতে হবে।
(xvi) জৈব প্রক্রিয়াজাত কারখানায় পর্যাপ্ত বায়ু সঞ্চালনের ব্যবস্থা করতে হবে।
(xvii) খালি হাতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ধরা উচিত নয়। হাতে গ্লোভস পরে কাজ করতে হবে। কাজ শেষে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে কাজের স্থান ত্যাগ করা উচিত ।
(xviii) গ্যাস লাইন কাজ শেষে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
(xix) পানির লাইন অবশ্যই কাজ শেষে বন্ধ রাখতে হবে।
(xx) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সচল এবং নাগালের ভিতর থাকতে হবে।
(xxi) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র চালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(xxii) প্রায়োজনীয় উপকরণসহ ফাস্ট এইড (First Aid) বক্স রাখতে হবে।
(xxiii) নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত ব্যবহার করা এবং ঐ সমস্ত চিহ্ন বা সংকেত ব্যবহার পদ্ধতির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সকলকে অবহিত করা।
(xxiv) ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করা।
(xxv) প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং সবসময় চোখে পড়বে এমন রঙের এবং আকৃতির অগ্নি, জরুরি অথবা বিপদ সংকেত চিহ্ন এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা থাকবে।
(xxvi) নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা ড্রেসিং রুম এবং বাথরুম থাকতে হবে।
(xxvii) প্রতিবন্ধী কর্মচারীদের জন্য অবশ্যই কিছু নির্ধারিত ব্যবস্থা (যেমন- চলাফেরার জন্য আলাদা জায়গা) থাকতে হবে।
(xxviii) ভবন আঙিনা, যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরিষ্কার এবং নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ ।
আরও পড়ূনঃ