আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ছোলার ডালের হালুয়া
Table of Contents
ছোলার ডালের হালুয়া
ছোলার ডালের হালুয়া
বুটের হালুয়া :
ছোলার ডাল, দুধ, চিনি, যি, দারুচিনি, এলাচ, পেস্তাবাদাম, চিনাবাদাম, কিসমিস, গোলাপজল, জর্দা রং ইত্যাদি দ্বারা বুটের সুস্বাদু হালুয়া তৈরি করা হয়। প্রথমে বুটের ডাল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয় এবং পানি ফেলে দিতে হয়। নতুন পানি দিয়ে ডাল এমনভাবে সিদ্ধ করতে হয় যেন ডালের পানি শুকিয়ে যায়। অল্প অল্প করে দুধ মিশিয়ে ডাল মিহি করে বেটে নিতে হয়।
একটি কড়াইয়ে বাকি দুধ নিয়ে তাতে চিনি, ঘি, গরম মশলা দিতে হয়। পাত্রটি চুলায় নিয়ে নেড়েচেড়ে ফুটাতে হয়। ঘন হয়ে এলে গোলাপজল মিশিয়ে ঘন ঘন নেড়ে হালুয়া করতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে তলার লেগে না যায়। যখন দলা বেঁধে পাত্রের হালুয়া গা ছেড়ে দিলে নামাতে হয়।
মি এর প্রলেপ দেয়া বড় খালায় নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হয়। ঠাণ্ডা করার পূর্বে পেত্তা ও বাদামের কুচি ও কিসমিস উপরে ছড়িয়ে দিতে হয়। ঠাণ্ডা হলে ছুরি দিয়ে হালুয়া বরফী আকারে কেটে নিলে ভালো হয়।
ছোলার ডাল থেকে বেসন তৈরি :
সাধারণত বুট বা ছোলা গুঁড়া করে যে পাউডার বা গুঁড়ি পাওয়া যায় তাই বেসন। বেসনের ব্যবহার বহুবিধ। বেসন দিয়ে ডালের বড়া, পাকোড়া ইত্যাদি তৈরি করা যায়। ডালমুটের মধ্যে বেসনের তৈরি বুদিয়া, ঝুরি, পাটিয়া মিশানো হয়ে থাকে। বেসন তৈরির উপকরণগুলো ছোলা/ডাল, কুলা, যাঁতা, গম ভাঙানোর মেশিন ।
বেসন তৈরি :
পরিপুষ্ট, অক্ষত ছোলা ডাল বাছাই করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। কুলা দিয়ে ঝেড়ে ছোলা ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হবে। পাখরের যাঁতায় ছোলার খোসা ছাড়িয়ে ভেঙে নিতে হবে। পম ভাঙানোর মেশিনে ছোলা ডাল ভাঙাতে হবে। মিলে ভাঙানোর ফলে ছোলা থেকে পাউডার বা মরদা তৈরি হবে। একে বেসন বলে।
এই বেসন পলিথিন বা চটের বস্তার মুখ বন্ধ করে রেখে দিলে ১ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এই বেসন থেকে বেগুনি, পিঁয়াজু এবং বুন্দিয়া তৈরি করা হয়। ভাল উন্নত মানের না হলে ভালো বেসন হবে না। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে বেসনে পোকা ধরবে।
বুটের বুন্দিয়া :
বুন্দিয়া তৈরিতে ছোলার বেসন, খাবার সোডা, লবণ, সয়াবিন তেল, চিনি, জর্দার রং ইত্যাদি নিতে হয়। বেসন, খাবার সোডা, রং, লবণ, কাঁচাভেল প্রয়োজনমতো ভালোভাবে মিশিয়ে পানি সহযোগে তরল মন্ড তৈরি করতে হয়। চুলার উপর কড়াই বসিয়ে তেল গরম করতে হয়। বুন্দিয়ার ডাইস কড়াইয়ের উপর রেখে ডাইলের উপর মণ্ড চাললে তা আপনা-আপনি গরম তেলে পড়বে।
তবে একবারে বেশি বুন্দিয়া তেলে দেওয়া যাবে না। কড়াইতে চিনি ও পানি সমপরিমাণ নিয়ে চুলার জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করতে হয়। সব বুন্দিয়া সিরার মধ্যে একবারে ঢালতে হয় এবং অল্প তাপে নেড়ে সমানভাবে পরম করতে হয়। সিরা থেকে বুন্দিয়া ছিদ্রযুক্ত বড় চামচ দ্বারা তুলে ট্রেতে ছড়িয়ে ঠাণ্ডা করতে হয়। পরে তা পরিবেশন বা বিক্রি করা হয়।
মিহিদানা :
এটি বুন্দিয়া তৈরির মতোই হবে। তবে এখানে যে ডাইস দিয়ে বুন্দিয়া তৈরি হয় তার চেয়ে ছোট ছোট ছিদ্রের ডাইস ব্যবহার করে মিহিদানা তৈরি করতে হয়। এই মিহিদানা দিয়ে লাড্ডু তৈরি হয় ।
চিত্র : ফুটের হালুয়া ও বুদিয়া
আরও দেখুন :