আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় গমের জাত ও মৌসুম
Table of Contents
গমের জাত ও মৌসুম
ভূমিকা :
গম বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান দানা ফসল (Cereals )। এটি রবি মৌসুমের ফসল। বিশ্বে উৎপাদিত দানা ফসলের প্রায় অর্ধেক গম। বাংলাদেশে উৎপাদিত দানা ফসলের ৬-৮% গম থেকে আসে। খাদ্য মানের দিক থেকে গম চালের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর। চালের চেয়ে গমে আমিষের পরিমাণ বেশি। গম চাষ লাভজনক।
চিত্রঃ গম গাছের বিভিন্ন অংশ
বিগত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৪.৩৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে গম চাষ করে ১৩.৪৮ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয় । শাসা প্রতি হেক্টর জমিতে গমের উৎপাদন হয় ৩০৮৫ টন। গম গ্রামিনী পরিবারের অন্তর্গত ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। ধানের মতো গমও ‘ক্যারিওপসীস’ জাতীয় ফল, যদিও গমকে বীজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি একবীজপত্রী ও সস্যল। গমকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
(ক) শক্ত গম- এ গমে তুলনামুলক ভাবে বেশি আমিষ থাকে।
(খ) নরম গম- এ গমে আমিষ বা গ্লুটেনের পরিমাণ কম থাকে ।
গমের জাত ও মৌসুম :
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গমকে একটি সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে এর গবেষণা জোরদার করা হয়। প্রথমে সোনালিকা ও পরে কাঞ্চন নামক গম জাত বেশ জনপ্রিয় হয়। পরবর্তীকালে কল্যাণসোনা, বলাকা, আনন্দ, বরকত, গৌরব ও শতাব্দী কৃষকের নিকট বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৯৮-২০১৪ সালের মধ্যে গম গবেষণা কেন্দ্র, বারি (বি.এ. আর আই) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :
গমের মৌসুম :
গম শীত মৌসুমের ফসল। আমাদের দেশে রবি মৌসুমে গম উৎপাদন করা হয়। গম ফসল বপনের উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। খাদ্য শস্য হিসেবে গম অধিক পুষ্টিকর এবং এতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি। গম চাষে সেচ কম লাগে।
যে জমিতে সেচের সুবিধা নেই অথচ মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে রস থাকে সে জমিতে বিনা সেচেও সফলভাবে গম চাষ করা যায়। গমের উৎপাদন খরচ কম এবং পোকা ও রোগের আক্রমণও কম। তাই আমাদের দেশে গম ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গমের আটা খাদ্য তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে।
আরও দেখুন :