আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় গোল শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড়
গোল শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড়
শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকর :
বাংলাদেশে ভি এর কালের বিটল পোকা ও করে থাকে। এদের তিন প্রজাতির নাম হোল –
(১) ক্যারোলো ব্রোকাস লাইন (Callasomacha Cherris
(২) টি (C. Maculatus)
(৩) . (C. Amalia)
উপরের তিনটি প্রজাতির ‘বিটল পোকা’ গুদামজাত দালের ক্ষতি করে থাকে। এদের আক্রমনে সতকরা ১০০ ডাল নষ্ট হয়ে যায় ।
বলাকা -পিউপা – পূর্ণাঙ্গ পোকা আক্রান্ত ভাল চিনালের বিচ পোষা
এ পোকা ডালের দানার খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে শাঁস খেতে থাকে। ফলে দানা হাল্কা হয়ে যায়। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং খাবার অনুপযুক্ত হয়ে যায়।
আবাদ মৌসুম ও গুরুত্ব
শীতের শুরুতে ডাল চাষ শুরু হয়ে বৈশাখে ডাল ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে। অন্যান্য ফসল অপেক্ষা ডালে বেশি আমিষ থাকে। ডালের আমিষ মানবদেহ সহজে গ্রহণ করতে পারে। যারা মাছ-মাংস ক্রয় করে খেতে পারে না তারা স্বল্পমূল্যে ডাল খেয়ে আমিষের অভাব পূরণ করে। এ কারণে ডালকে গরিবের মাংস বা Poor man’s meat বলে।
আমিষ ছাড়াও ডালে স্নেহ, খনিজদ্রব্য, আঁশ ও খাদ্যপ্ৰাণ পাওয়া যায়। প্রাণিখাদ্য হিসেবে ডালের সবুজ ও কাঁচা গাছ, ডাল ও ডালের খোসা এবং ভুসি যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার হয়। ডালের মধ্যে মসুর, মুগ, বুট ও ছোলার ডালের জনপ্রিয়তা বেশি। মুগ ডালের ফলন কম হয় বলে বাজারে মূল্য বেশি থাকে। রান্নার পর সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য মুগ ডাল শীর্ষস্থানীয়।
বাংলাদেশে ডাল উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময়। বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৯ লক্ষ ২০ হাজার একর জমিতে মোট ডাল ফসলের উৎপাদন হয় ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। ডালের ফলনে আমাদের দেশের মোট চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। পুষ্টিবিদগনের মতে একজন মানুষের দৈনিক ডালের চাহিদা ৪৫ গ্রাম।
সে হিসাব মতে আমাদের প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রাত্যহিক খাদ্য তালিকায় ডালের ব্যবহারে নিম্নের তিনটি কাজ সম্পন্ন হয়।
আরও দেখুন :