উৎসেচক ভূমিকা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় উৎসেচক ভূমিকা , যা উৎসেচক অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

উৎসেচক ভূমিকা

এনজাইম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “Zymosis” (জাইমোসিস) থেকে। এ জাইমোসিস শব্দটি ব্যবহার করা হতো গাঁজন (Fermentation) প্রক্রিয়ায় যা ইস্ট কোষ (Yeast cell) দ্বারা পরিচালিত হয়। এ গাঁজন প্রক্রিয়া মদ্যাদি (Brewing) শিল্পে ব্যবহার করা হতো। এনজাইম (Enzyme) একটি জৈব প্রভাবক।

 

উৎসেচক ভূমিকা

 

উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষে এনজাইম অপরিহার্য উপাদান। নিজের কোনোরূপ পরিবর্তন না ঘটিয়ে এনজাইম উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের রাসায়নিক ক্রিয়ায় প্রভাবকের কাজ করে। ফল, সবজি পাকার জন্য এনজাইম প্রয়োজন।

আবার এনজাইমের কারণে ফল অতিরিক্ত পেকে পঁচে যায়। এনজাইম প্রোটিন জাতীয় পদার্থ। উত্তাপে এনজাইমের কর্মক্ষমতা কমে যায় । এনজাইমের কাজের জন্য 0°C – 60°C তাপ উপযোগী এবং O°C এর কার্যকারিতা বহুলাংশে কমে যায়। তবে 37°C তাপে এনজাইমের কাজ খুব ভালোভাবে সংঘটিত হয়। 80°C এবং এর অধিক তাপে এনজাইমের কাজ শ্লথ হয়। 80°C তাপে আধঘণ্টা উত্তপ্ত করলে এনজাইম সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়।

 

উৎসেচক ভূমিকা

 

এনজাইম তার ত্রিমাত্রিক (Three Dimensional) প্রোটিন গঠনতন্ত্রের জন্য অনুঘটক (catalyst) হিসেবে কাজ করে। এ গঠনতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু কিছু Factor দ্বারা, বিশেষভাবে পিএইচ (pH), লবণ (Salt) এবং তাপমাত্রার উপর।

তাপমাত্রার অল্প পরিবর্তন হলে বিক্রিয়ার গতিতে তাৎপর্যপূর্ণ (Significantly) পরিবর্তন হয়। খুব উচ্চ তাপমাত্রায় এনজাইম-এর ত্রিমাত্রিক প্রোটিন গঠনতন্ত্রের এবং এর কার্যকারিতার অপরিবর্তনীয় (Irriversible) পরিবর্তন হয়। লবণ ও এনজাইমকে স্বভাবচ্যুত (Denature) করে ফেলে।

একটি এনজাইম তার সাবস্ট্রেট (Substrate) এর সাথে “তালা এবং চাবি” (Look and Key) মডেলে বন্ধনের মাধমে বিক্রিয়া ঘটায়। এনজাইম এর ভিতর একটি একটিভ সাইট (Active Site) থাকে যেখানে Specific Substrate বন্ধন তৈরি করে। এ বন্ধন যত দৃঢ় হবে বিক্রিয়ার গতি তত দ্রুত হবে। বিক্রিয়ার গতি মোটের উপর (Overall) নির্ভর করে Substrate-এর ঘনত্বের (Concentration) উপর।

উৎসেচক ভূমিকা

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment