চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

 

চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

 

চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

চীনা বাদাম থেকে খাদ্য :

বিশ্বের অনেক দেশে চীনাবাদম খুবই জনপ্রিয় খাবার। একক বা অন্যান্য খাদ্য উপাদানের সাথে চীনাবাদাম মিশিয়ে আকর্ষণীয় খাবার তৈরি করা যায়। চীনাবাদাম থেকে সাধারণত যেসকল খাদ্য তৈরি করা যায় তা নিম্নে দেয়া হলো :

ক) চীনাবাদাম বালিতে ভাজা

খ) চীনাবাদাম তেলে ভাজা

গ) চানাচুর

ঘ) চীনাবাদামের বিস্কুট

ঙ) চীনাবাদামের মুড়কি বা চিক্কি

চ) চীনাবাদামের ময়দা

ছ) চীনাবাদামের দুধ

জ) চীনাবাদামের দুধের দৈ

ঝ) চীনাবাদামের মাখন

ঞ) চীনাবাদামের বার

ট) চীনাবাদাম থেকে শিশু খাদ্য।

চীনাবাদাম ভাজা :

সাধারণত চুলার উপরে কড়াইতে গরম বালুর মধ্যে, খোসাসহ বাদাম দিয়ে ভাজতে হয়। ভাজার সময় বাদামগুলো যখন বাদামি বা পোড়া বর্ণ ধারণ করে তখন ছাঁকনি হাতার সাহায্যে তুলে নিতে হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি হাটবাজার, শহর-বন্দর, রেলস্টেশন, পার্ক প্রভৃতি স্থানে চীনাবাদাম বিক্রির দৃশ্য অতি পরিচিত।

হাতে বাদাম নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে দানা সামান্য ঘষে ফুঁ দিয়ে আমরা চীনাবাদাম খেয়ে থাকি। আমাদের দেশে উৎপাদিত কাঁচা চীনাবাদামের বেশির ভাগই ভেজে খাওয়া হয়। সামান্য পরিমাণে বিস্কুট কারখানার ব্যবহার করা হয়।

চীনাবাদাম তেলে ভাজা :

চীনাবাদামের খোসা ছাড়িয়ে পুষ্ট ও পরিপক্ব কাঁচা দানা সংগ্রহ করতে হয়। বাজারে খোসা ছাড়ানো কাঁচা বাদামের দানা পাওয়া যায়। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে বাদামগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হয়। ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে তেল থেকে বাদামগুলো তুলে তেল ঝরিয়ে নিতে হয়।

অতঃপর তা বড় গামলায় রেখে বাদামের সাথে, মরিচ, জিরা, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ ও সাইট্রিক এসিড ভালো করে মিশাতে হয়। তারপর তা পলিব্যাগে ভরে মুখ আটকিয়ে বাজারজাত করা হয়।

 

চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

 

চীনাবাদাম মুড়কি বা চিক্কি :

চিনি বা গুড় পাতিলে গুলিয়ে দ্রবণ তৈরি করে ছেকে নেওয়া হয়। তারপর জ্বাল দিয়ে সিরাপ তৈরি করা হয়। সিরাপ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে কড়াইয়ে ঢালা হয়। অন্য চুলায় চীনাবাদামের শাঁস তেলে ভালো করে ভেজে নিয়ে গরম কড়াইতে ঢেলে দেওয়া হয়। চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে মুড়কি তৈরি করা হয়।

চীনাবাদামের থেকে শিশু খাদ্য :

চীনাবাদামের ময়দা, ভুট্টার ময়দা, সমপরিমাণ সয়াবিন ময়দা, গুঁড়া চিনি ও গুঁড়া দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে টিনের কৌটায় বা পলিথিন প্যাকেটে বায়ুরোধী অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়। শিশুকে খাওয়ানোর সময় পরিমাণমতো গরম পানি ও উক্ত খাদ্যের মিশ্রণ মিশিয়ে নিতে হয়।

সসপ্যানে উক্ত খাদ্যের মিশ্রণ নিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হয়। চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম অবস্থায় শিশুকে খাওয়ানো হয়। এটা শিশুর সুষম খাদ্য। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে ৬ মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যায় ।

চীনাবাদামের বাটার :

১ কেজি চীনাবাদাম, ১০০ গ্রাম চিনি ও ৫০ গ্রাম সয়াবিন তেল নেওয়া হয়। শিলপাটা খুব ভালো করে ফুটানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়। ভাজা চীনাবাদামের খোসা ফেলে শাঁসগুলোর পাতলা লাল আবরণ ফেলে দিতে হয়। বাদাম পাটায় অল্প অল্প চিনি দিয়ে বাটা হয়।

বাটা বাদাম সয়াবিন তেল দিয়ে ফেটানো হয়। উচ্চ মাত্রায় ঘূর্ণনের ফলে তেল মিশে গেলে বাদামের প্রোটিন ও মাখন আলাদা হয়ে যায়। জীবাণুমুক্ত বোতলে মাখন ভরে বায়ুরোধী করে রাখতে হয়। এ মাখন বেশিদিন রাখা যায় না ।

 

চীনাবাদাম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য

চিত্র : চীনাবাদামের খাদ্য

আরও দেখুন : 

Leave a Comment