আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় যুগাঙ্কুর তৈরি করা অনুশীলন
Table of Contents
যুগাঙ্কুর তৈরি করা অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
মুগাঙ্কুর মুগডাল হতে উৎপাদিত একটি উৎকৃষ্ট সবজি। মুগাঙ্কুর আমাদের খাদ্যে শর্করা, আমিষ, খনিজ যোগানসহ প্রচুর ভিটামিন সি সরবরাহ করে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, তাইওয়ানসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রীষ্মে ও বর্ষায় সবজির ঘাটতি দেখা যায়।
এক্ষেত্রে যুগ বীজ হতে মাশরুমের মতো ঘরে তৈরি মুগাভুর সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের জনসাধারণের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের সাথে সাথে ‘যুগাঙ্কুর একটি রপ্তানিমুখী বাণিজ্য সামগ্ৰী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপাদন ও সহায়ক উপকরণ :
১. মুগবীজ
২. চালনি
৩. চওড়া মুখওয়ালা মাটির পাত্র
৪. ক্যালসিয়াম হাইপো ক্লোরাইড
৫. পরিষ্কার কাপড়
৬. বড় ড্রাম ইত্যাদি।
মুগাঙ্কুর তৈরি করার জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে :
চিত্র : মুগাঙ্কুর
১. মাঝারি ধরনের মসৃণ খোসাযুক্ত বীজ মুগাঙ্কুরের জন্য নিতে হবে।
২. বীজগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
৩. পানি ঝরানো মুগ মাটির পাত্রে ছড়ায়ে দিতে হবে। বীজ বেশি ঘন করে দেওয়া যাবে না। তাই পাত্রের তলদেশে ২-৩ স্তর করে বীজ ছড়াতে হবে।
৪. পাত্রে বীজ রাখার পর ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে ৩-৪ ঘণ্টা এবং শীতকালে ৬-৭ ঘণ্টা পরপর হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে কাপড় ভিজিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অঙ্কুর যেন শুকিয়ে না যায়।
৫. অঙ্কুরিত বীজকে ছত্রাকমুক্ত রখার জন্য ১২ লিটার পানিতে ১ চা চামচ ক্যালসিয়াম হাইপো ক্লোরাইড মিশিয়ে প্রতি রাত ভিজা কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে ৭-৮ দিন পর অঙ্কুরিত মুগবীজ ৮-৯ সে.মি. লম্বা খাবার উপযোগী হবে।
৬. অঙ্কুরিত মুগবীজ তুলে বড় ড্রামে পানির মধ্যে খুব সাবধানে খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৭. অঙ্কুরিত মুগবীজের মান বেশি সময় বজায় রাখার জন্য হালকা গরম পানিতে ৩-৪ মিনিট ব্লানচিং করে নিতে হবে ।
৮. এভাবে প্রাপ্ত মুগাঙ্কুর দিয়ে সালাদ ও সবজি হিসেবে বিভিন্ন খাবারের সাথে খাওয়া যায়।
মুগাঙ্কুর তৈরির ফ্লো চার্ট
সতর্কতা
১. অঙ্কুর যেন কোনোভাবেই শুকিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
২. মুগবীজ বেশি বড় বা বেশি ছোট যেন না হয়, মাঝারি আকৃতির হতে হবে।
আরও দেখুন :