Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান ও জাত

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান ও জাত

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান ও জাত

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান ও জাত

ভূমিকা :

মিষ্টি আলু (Sweet Potato) উদ্ভিদ বিজ্ঞানের কনভলভুলেসি (Convolvolaceae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি লতানো গাছ। উৎপাদনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য ফসলসমূহের মধ্যে মিষ্টি আলুর স্থান চতুর্থ। মিষ্টি আলুর চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। এতে পোকামাকড় ও রোগবালাই নেই বললেই চলে। উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি।

মিষ্টি আলু চাল ও গোল আলুর চেয়ে অধিক পুষ্টিকর। মিষ্টি আলু প্রক্রিয়াজতকরণের মাধ্যমে হালুয়া, পায়েস, ফিরনি, চিপস, জ্যাম, জেলি, মিষ্টি, ভর্তা, তরকারি এসব তৈরি করা যায়। দুধের সাথে মিষ্টি আলু মিলিয়ে খাওয়া যায়। মিষ্টি আলুর পাতা বা শাক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর । তরকারি হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে শুঁটকি মাছ এবং মাছের মাথা দিয়ে তরকারি বেশ মজাদার ।

 

 

চিত্র : মিষ্টি আলুর লতাসহ আলু

কোরিয়াতে মিষ্টি আলুর হটকেক, দুধ, নুডুলস, ক্যান্ডি জাতীয় খাদ্য অতি জনপ্রিয়। এছাড়া পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয়। তাইওয়ানে উৎপাদিত মিষ্টি আলুর ৭৩ ভাগ প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। মিষ্টি আলুর হালকা রঙের শাঁস এবং উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধজাত স্টার্চ তৈরিতে ব্যবহার হয়।

মিষ্টি আলুর স্টার্চ গোল আলুর, ভুট্টা ও কাসাভার স্টার্চের তুলনায় এবং অন্যান্য্য গুণাগুণের দিক দিয়ে মাঝারি মানের। দক্ষিণ আমেরিকার মিষ্টি আলুর আটা মুদি দোকানে ভোজ্য পণ্য হিসেবে এবং বাড়ির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। সয়া সস তৈরিতে গমের ময়দার পরিবর্তে মিষ্টি আলুর আটা ব্যবহার করা হয়। কমলা রঙের স্টার্চযুক্ত মিষ্টি আলুতে গাজর ও অন্যান্য সবজি ও ফল থেকে বেশি ক্যারোটিন বিদ্যমান।

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান :

আমাদের দেশে মিষ্টি আলুর গুণাগুণ ও কার্যকারিতা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানের অভাবে মিষ্টি আলুর ব্যবহার কম হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ বিদ্যমান। এ কারণে অধিকাশ উন্নয়নশীল দেশেই ফসল সংগ্রহের সাথে সাথে তাজা মিষ্টি আলু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

মিষ্টি আলুর পুষ্টি উপাদান নিম্নের সারণিতে দেখানো হলো :

সারণি : মিষ্টি আলুর পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার অংশ)

 

সূত্র : কৃষিকথা (অগ্রহায়ণ ১৪২২)

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন থাকে যা ভিটামিন ‘এ’ এর একটি ভালো উৎস। মিষ্টি আলু স্বাভাবিক অবস্থায় ১-২ মাস সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত করে মিষ্টি আলু থেকে চিপস, শুকনো চিপস, জ্যাম, জেলি ও সস তৈরি করে বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। শহর ও গ্রামের মেয়েরা সহজেই এ সকল দ্রব্য তৈরি ও বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

মিষ্টি আলুর জাত :

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বারি) জয়দেবপুর, গাজীপুরের কন্দাল গবেষণা কেন্দ্ৰ থেকে যে সকল মিষ্টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে, তার বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে ছক আকারে বর্ণনা করা হলো-

 

 

আরও দেখুন : 

Exit mobile version