Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

মাশরুম ফ্রাই

মাশরুম ফ্রাই

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মাশরুম ফ্রাই

মাশরুম ফ্রাই

 

 

ভুমিকা

মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু সবজি। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখরোচক এই মাশরুমের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে খাদ্য তালিকায় মাশরুমকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যবহৃত হতো অসাধারণ লোভনীয় স্বাদের মাশরুম। বিশ্বব্যাপী ভোজন রসিকেরা মাশরুমকে স্বর্গীয় খাবারের সাথে তুলনা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ইহা অপরিচিত সবজি।

সঙ্গত কারণেই এর রান্নার প্রক্রিয়াটি অনেকের কাছেই অজানা। ভালোভাবে রান্না হলে এটি আমাদের অপরিচিতি মুখেও স্বাদ লাগবে।
মাশরুম এমন একটি সবজি যা বিচিত্রভাবে ব্যবহার করে অত্যন্ত রুচিকর ও রকমারি খাবার তৈরি করা সম্ভব। তাছাড়া মাশরুম দিয়ে চাইনিজ ও পাঁচতারা হোটেলে বিভিন্ন প্রকার মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে।

আমাদের দেশীয় পদ্ধতিতে মাশরুম দিয়ে অনেক রকম খাবার তৈরি করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে পুষ্টিহীনতা থেকে বাঁচা সম্ভব।
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস মূলত শর্করা জাতীয় খাদ্য নির্ভর। ফলে অধিকাংশ মানুষের আমিষের ঘাটতি রয়ে যায়। মাশরুম যেহেতু উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ সবজি কাজেই আমাদের খাদ্য তালিকায় মাশরুম সহযোগে তৈরি খাদ্য রাখলে একদিকে যেমন আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে অন্যদিকে সবাই সুস্থ থাকবে। এই বিবেচনায় নিম্নে কয়েকটি মাশরুম রেসিপি দেওয়া হলো-

১. মাশরুম ফ্রাই

২. মাশরুম সবজি

৩. মাশরুম নুডলস

৪. মাশরুম চিকেন বিরিয়ানি

৫. মাশরুম চিকেন স্যুপ

৬. মাশরুম ওমলেট

৭. মাশরুম স্যান্ডউইচ

৮. মাশরুম আচার

৯. মাশরুম দিয়ে মাংস (গরু, খাসি ও মুরগি)

১০. মাশরুম চিংড়ি

১১. মাশরুম চটপটি

১২. মাশরুম সস

১৩. মাশরুম পিজা

১৪. মাশরুম রোল ইত্যাদি

 

 

মাশরুম শুধু কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায় না, শুকনা মাশরুম ও বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। নিম্নে শুকনা মাশরুমের রন্ধনপ্রণালি দেয়া হলো।

রন্ধনপ্রণালি

শুকনা মাশরুমকে রান্নার উপযোগী করা : কাঁচা মাশরুম হলে ধুয়ে নিয়ে সরাসরি রান্নায় ব্যবহার করা যায় কিন্তু শুকনা মাশরুমকে রান্না করার আগে কাঁচা মাশরুমের মতো নরম করে নেয়া দরকার । তাই নিচের প্রণালি অবলম্বন করতে পারেন।

১. মাশরুমের পরিমাণ অনুসারে পানি এমভাবে নিতে হবে যেন মাশরুমগুলো খুব সহজেই ভিজতে পারে।

২. পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে ফোটান। (এজন্য ১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ লবণ দিলেই যথেষ্ট হবে)

৩. ফুটন্ত পানি চুলা থেকে নামিয়ে শুকনা মাশরুমগুলো ছেড়ে দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখবেন শুকনা মাশরুম নরম হয়ে কাঁচা মাশরুমের মতো হয়ে গেছে। এবার পানি ঝরিয়ে নিন।

মাশরুম ফ্রাই :

মাশরুম ফ্রাই-এর অপর নাম মামাচিং। নাস্তা হিসেবে এই ফ্রাই চা এর সাথে পরিবেশন করা হয়। ইফতারির সময় বেসনের সাথে সবজির পরিবর্তে মাশরুমের পাকোড়া তৈরি করা হলে তা যথেষ্ট সুস্বাদু হয়। এই ফ্রাই তৈরি করতে মাশরুম ১০-১২টি, ডিম ১টি, ছোলার বেসন ১০০ গ্রাম, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়া, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো লাগবে। প্রথমে মাশরুম ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ছাড়িয়ে নিতে হয়।

তারপর, ডিম, বেসন, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রণ তৈরি করতে হয়। মাশরুমগুলো মিশ্রণে ভালোভাবে ডুবিয়ে নিতে হয়। পাত্রে তেল গরম করে একত্রে কয়েকটি মাশরুম ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হয়। এই ফ্রাইটি গরম অবস্থায় খেতে খুবই ভালো লাগে এবং কাউকে প্রথম খাওয়াতে হলে এইভাবে ফ্রাই করে খাওয়ানো উচিত।

 

 

আরও দেখুন : 

Exit mobile version