Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

বেভারেজের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা

বেভারেজের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বেভারেজের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা ,যা খাদ্য এবং পানীয় প্রক্রিয়া অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

বেভারেজের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা

বেভারেজ প্রধানত দুই ধরনের, যথা-

(i) অ্যালকোহলিক বেভারেজ বা পানীয় (Alcoholic Beverage)

(ii) নন-অ্যালকোহলীয় পানীয় (Non-Alcoholic Beverage)।

অ্যালকোহলিকয় পানীয় ঃ অ্যালকোহলীয় বেভারেজ পোর্টেবল (Portable) তরল যা সাধারণত ২ থেকে ৭৫% লিকার (Liquor) বা তরল রস ধারণ করে। এটা ফল, শস্য, গুড় এবং উদ্ভিদের নির্যাস থেকে গাজন প্রক্রিয়ায় উৎসেচকের মাধ্যমে তৈরি করা হার থাকে। এটা সাধারণত ইথাইল অ্যালকোহল নামে পরিচিত।

অ্যালকোহলীয় পানীয় আবার দুই ধরনের, যথা-

(i) গাঁজানো অ্যালকোহলীয় পানীয় (Fermented alcoholic beverage),

(ii) পাতিত অ্যালকোহলীয় পানীয় (Distilled alcoholic beverage) ।

 

 

গাঁজানো পানীয় ঃ গাঁজানো অ্যালকোহলিক পানীয়গুলোকে আমরা সাধারণত ওয়াইন এবং বিয়ার (Beer) বলে জানি। ওয়াইন 7 (wine) হলো একটি পানীয় যা আঙ্গুর (grape) বা অন্যান্য ফল যেমন- ঢেরি, পিয়ারস ইত্যাদি থেকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় ঈস্ট যোগ করে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

বিয়ার (Beer) সাধারণত শস্যদানা জাতীয় পদার্থকে বা ফসলকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় ঈস্টের সাথে হপম সর (Hops) যোগ করে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এটাকে গাজিত মল্ট পানীয়ও বলা হয়।

পাতিত পানীয় (Distilled beverage) : পাতিত পানীয়, স্পিরিট (Spirit), মদ (Liquor) অথবা হার্ড মদ (Hard liquor) য গাঁজন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত অ্যালকোহলীয় মিশ্রণ।

পাতিত পানীয় রাম (Rum), হইস্কি (Whiskey), ভোদকা (Vodka), জিন (Gin). ব্র্যান্ডি (Brandy) এবং টেকিলা (Tequila) নামে পরিচিত। এদেরকে স্পিরিটও বলা হয়। স্বাদ এবং মিষ্টিযুক্ত স্পিরিটকে মান (Liquors) বলা হয়।

 

 

নন-অ্যালকোহলীয় পানীয় (Non alcoholic beverage) : নন-অ্যালকোহলীয় বলতে সাধারণত নন-মাদকদ্রব্যের পানীয় বা নরম পানীয়কে (Soft drinks) বুঝায়। নন-অ্যালকোহলীয় পানীয় হচ্ছে পানি,

খনিজ পানি (Mineral water), জুস (juice), স্কোয়াশ (Squashea), সিরাপ (Syrup), চা (Tea), কফি (Coffee এবং দুধ (Milk)। অতিথেয়তা (Hospitality) শিল্পে নন-অ্যালকোহলীয় পানীয় মূলত সরবরাহ করা হয়।

এটা সাধারণত তার উত্তেজক হিসাবে কাজ করে। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় নরম বা ঠান্ডা পানীয় হিসাবে। যেমন— কোক (Coke), সোডা ওয়াটার ফানটা ইত্যাদি। এটা কেবল স্বাদ যোগ করে না বরং রং, স্বাদ এবং চোখের আকর্ষণ (Appeal) বাড়ায়। এটাকে উত্তেজক এবং রিফ্রেশার হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। পানীয়-এর শ্রেণিবিভাগ নিচে ছকাকারে দেয়া হলো-

 

 

আরও পড়ূনঃ

Exit mobile version