Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

 

 

কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

প্রাসঙ্গিক তথ্য :

খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বা এপ্রোবেসড শিল্পে বা ব্যবসায়ে সফলতা লাভের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম বিবেচ্য বিষয়ের দিক হচ্ছে উত্তম শিল্প ব্যবস্থাপনা ও কর্মচারীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণ অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা শুরু হয় কর্মচারী, কারখানা ও কারখানার পারিপার্শ্বিক এলাকা থেকে।

এপ্রোবেসড শিল্পে সফলতার সাথে স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জড়িত ব্যক্তিবর্গ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের শরীরের উন্মুক্ত অংশ ধৌত করার যাবতীয় সুবিধাদি কারখানায় বিদ্যমান থাকতে হবে।

উপকরণ :

১ কর্মীদের নির্ধারিত ড্রেস

২ অ্যাপ্রানভ

৩ হাত সন্তানাভ

8 টুপিভ

৫ জুতা

৬ ডেটল

 

চিত্র: প্রক্রিয়াজাত কর্মীর পোশাক

কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে

১. কর্মচারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ সবসময় পরিষ্কার থেকে হবে।

২. কাজের সময় নির্ধারিত ড্রেস পরতে হবে।

৩. মাথার চুল টুপি বা নেট দ্বারা ঢেকে রাখতে হবে ।

৪. হাত ও পায়ের আঙ্গুলের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

৫. সাবান ও ডিটারজেন্ট দ্বারা কাজ শুরুর আগে, পায়খানা ব্যবহারের পরে বা ময়লা স্পর্শ করার পর হাত ভলো করে ধুতে হবে।

৬. বাহিরের জন্য ব্যবহৃত জুতা কারখানা এলাকায় ব্যবহার না করা এবং কারখানার ভিতরেচলাচলের জন্য পৃথক জুতা রাখা।

৭. নাকে ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৮. অসুস্থ অবস্থায় কাজ থেকে ছুটি নেওয়া।

৯. হাই উঠলে বা কাশলে বা ঘাম বের হলে তা ঢেকে রাখা বা মুছে ফেলা।

১০. কারখানার ভিতরে ধূমপান করা যাবে না।

১১. চর্মরোগাক্রান্ত ব্যক্তি কারখানায় কাজ করতে দেওয়া যাবে না ।

১২. কারখানার যন্ত্রপাতি দৈনিক দুইবার পরিষ্কার করতে হবে।

১৩. ঘরের মেঝে ও দেয়াল কমপক্ষে দিনে একবার পরিষ্কার করতে হবে।

১৪. কারখানার আশেপাশের এলাকা যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

১৫. কারখানার অভ্যন্তরে দ্রব্য নাড়াচাড়ার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতা :

১. সংক্রামক বা ছোঁয়াচে ব্যাধিসহ কোনো কর্মী কারখানায় এলে সকলেই আক্রান্ত থেকে পারে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থেকে হবে।

 

 

২. খাদ্য তৈরি নিয়ে কাজ অত্যন্ত সংবেদনশীল তাই কোনো প্রকার অবহেলা ও গাফলতির কারণে ফুড পয়জনিং থেকে পারে।

৩. বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সাবধানতার সাথে নড়াচড়া করতে হবে।

আরও দেখুন : 

Exit mobile version