আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় তিল থেকে বিভিন্ন খাদ্য
Table of Contents
তিল থেকে বিভিন্ন খাদ্য
তিল থেকে বিভিন্ন খাদ্য
তিল বীজ থেকে খাদ্য :
আমাদের দেশে তিল তেল অত্যন্ত জনপ্রিয়। গ্রামাঞ্চলে রান্নার কাজে তিল তেল ব্যবহার করা হয়। বিস্কুট কারখানায় পাউরুটি, রোল, বন, কেক, কুকি ও ক্যান্ডিতে খোসা ছাড়ানো সাদা তিল বীজ ব্যবহার হয়।
অন্যান্য তেলের চেয়ে তিল তেলে ভাজা খাদ্য যেমন- পটেটো চিপস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। মাছ, মাংস, মুরগির মাংস, সবজি প্রভৃতি খাদ্য সুগন্ধময় করার জন্য তিল তেল ব্যবহার করা হয়। অলিভ অয়েলের বিকল্প হিসেবে তিল তেল ব্যবহার করা যায়। জাপানি ও কোরিয়ানদের নিকট তিল অতি পছন্দীয় খাবার ।
তিলের নাড়ু :
তিল উত্তমরূপে ঝেড়ে ও বেছে নেওয়া হয়। কড়াইতে তেল দিয়ে তিলগুলো ভেজে নেওয়া হয়। চুলায় কড়াইতে পানি নিয়ে গুড় বা চিনি দিয়ে জ্বাল দেয়া হয়। চিনির পানি ঘন হয়ে এলে অর্থাৎ সিরা হয়ে আসলে ভাজা তিলগুলো ছেড়ে দিয়ে উত্তমরূপে নেড়েচেড়ে নামাতে হয়।
গরম থাকা অবস্থায় তিলের নাডু পাকিয়ে ঠাণ্ডা করে কোটায় সাজিয়ে রাখতে হয়। এ তিলের সাথে চালের গুঁড়া মিশিয়ে একটু শক্ত নাড়ু করা যায়।
ভিলের খাজা :
এটি তৈরি করতে ঘি, চিনি ও ময়দা প্রত্যেকটি ১ কেজি করে লাগবে। কেজি ময়দায় ২৫০ গ্রাম যি ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে উত্তমরূপে ময়ান দিয়ে খামির তৈরি করতে হবে। অতঃপর 2″-3M লেচি কেটে তা বেটে 6″-7″ লম্বা করতে হবে। এই লেচিত্রে ঘি এর প্রলেপ দিয়ে দু’ভাজ করতে হবে। এরপর একটি ঠুঙ্গি মতো করতে হয়।
উক্ত ঠুঙ্গি গোল সিঁড়ির উপর চতুর্দিকে সাজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর হাত দিয়ে ঠুঙ্গি গোল চ্যাপ্টা করতে হবে। এভাবে কয়েকবার কুলী পাকাতে হবে এবং চ্যাপ্টা করে বি মাখাতে হবে। শেষে লেচি বা রুটি বানিয়ে তা ঘিতে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে তা অন্য পাত্রে ঘি করবার জন্য রাখতে হবে।
এরপর ভাজা খাজাকে চিনির সিরায় ডুবিয়ে তারপর সাদা তিল খাজার সম্পূর্ণ শরীরে লাগিয়ে সাজিয়ে রেখে দিতে হবে।
ভিলের চিক্কি :
প্রথমে তিলকে ভালো করে ভেজে নিতে হয়। চুলায় কম আঁচে চিনি ও পানি গরম করা হয়। মিশ্রণ নাড়তে নাড়তে যখন ঘন হয়ে আসে তখন পরিমানমতো তিল দিয়ে দিতে হয়। নরম থাকা অবস্থায় সামান্য লেবুর রস দিয়ে ঘি মাখানো ট্রে-এর উপর ঢেলে পুরু করে রুটির মতো বেলে নিতে হয়। তারপর পরম থাকা অবস্থায় ছুরি দিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করা হয়। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করা যায়।
মার্জারিন (Margarine) :
একে উদ্ভিজ্জ তেলের মাখন বলে। আজকাল বিদেশে রান্নার কাজে মার্জারিন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম তাপে ছারী এমন উদ্ভিজ্জ তেলগুলোর ঘনত্ব বাড়িরে এবং সেই সঙ্গে ৩% লবণ মিশ্রণের মাধ্যমে মার্জারিন তৈরি করা হয়।
তিল, নারিকেল, পাম, সূর্যমুখী, ভুট্টা প্রভৃতি উদ্ভিজ তেল থেকে মার্জারিন তৈরি করা হয়। ফারোগীদের বা কদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন ব্যক্তিদের প্রাণিজ চর্বি ব্যবহার না করে মার্জারিনের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম।
চিত্র : তিলের নাড়ু ও খাজা
আরও দেখুন :