Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

ডাল সংরক্ষণ

ডাল সংরক্ষণ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ডাল সংরক্ষণ

ডাল সংরক্ষণ

ডাল সংরক্ষণ

সংরক্ষণের জন্য ডাল শুকানোর পদ্ধতি :

(১) ডাল বীজ সব সময়ই পরিষ্কার ও পাকা মেঝে অথবা প্লাস্টিকের শিটে পাতলা করে ছড়িয়ে দিয়ে শুকাতে হব।

(২) কোনো সময় বৃষ্টি হলে বীজ পুনরায় শুকিয়ে নিতে হবে।

(৩) সংরক্ষণের জন্য আর্দ্রতা কমিয়ে ৮-৯% এ আনতে হবে।

(৪) শুকানো ডাল কামড় দিলে যদি কট শব্দ হয় তবেই বোঝা যাবে বীজ সংরক্ষণ করার উপযোগী হয়েছে।

বীজ সংরক্ষণ পর্যায় :

ভাল ফসল কাটার পর থেকে বীজ প্রক্রিয়াকরণ কাজ শুরু হয়। তবে ভাল বিভিন্ন পর্যায়ে সংরক্ষণ করা হয়। যেমন-

(ক) মাঠ সংরক্ষণ: বীজ ফসল পাকার পর কাটার পূর্ব পর্যন্ত মাঠে থাকার সময়কে মাঠে সংরক্ষণ বুঝার। বীজের মধ্যে যখন সবচেরে রসহীন অবস্থা প্রাপ্ত হয় তখনই বীজের পরিপক্বতা অবস্থা হয়। ভাল বীজের পরিপক্ব অবস্থায় রস থাকে ২৮-৩০ ভাগ।

(খ) স্তূপাকার সংরক্ষণ : ফসল বা বীজ কাটার পর বস্তা বন্দী বা পাত্রে রাখার উপযোগী অবস্থা করার পূর্বে পর্যন্ত সমরকে স্তূপাকার সংরক্ষণ বোঝার। বীজ কাটার পর ভাতা যাই ঝাড়াই, পরিষ্কারকরণ ও শুকানো প্রয়োজন। তাছাড়া বীজে বেশি রস থাকার কারণে শ্বসন প্রক্রিয়া বেড়ে যাবে এবং তাপের সৃষ্টি হয়ে বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। ডালবীজের বেলায় বীজ দ্বারারে বা রোদে ফিরে ৮-১০ ভাগ আর্দ্রতার নামিয়ে আনতে হয়।

(গ) বস্তাবন্দী বা পাত্রে সংরক্ষণ : লক্ষী মাড়াই, ঝাড়াই, পরিষ্কারকরণ ও শুকানোর পর বস্তাবন্দী বা B পাত্রে রাখা থেকে বিতরণ বা বিক্রি করার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে বস্তাবন্দী সংরক্ষণ বোঝায়। সংরক্ষণকালে বীজ যেন আঘাত না হয় এবং সংরক্ষণ পাত্র রাখার স্থান উঁচু মাচা ঠাণ্ডা ও শুষ্ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

চিত্র : ডাল বীজ সংরক্ষণ

(গ) বিজ্ঞাণকালীন সংরক্ষণ : বীজ বিতরণের জন্য বা বিক্রেতার নিকট পৌছানোর পূর্ব পর্যন্ত 1 সময়কে বিতরণকালীন সংরক্ষণ বোঝায়। বীজ পরিবহনকালে ট্রেনে, ট্রাকে, নৌকা ইত্যাদি স্থানে সাময়িকভাবে রাখা হয়। এ সময়টুকু বিতরণকালীন সংরক্ষণ অন্তর্ভুক্ত।

সংরক্ষণ পাত্রে ভাগ ভরা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি –

(১) অকানো ভাল বীজ সংরক্ষণ পারে তরে ভালোভাবে মুখ বন্ধ করতে হবে ।

(২) শুকানোর পর ভাল বীজ ঠাণ্ডা করে তার পর সংরক্ষণ পারে আরতে হবে।

(৩) মাটির বা টিনের পাত্রের মুখ তুখ মিশ্রিত কাদামাটি দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে বাতে পোকা বা আর্দ্রতা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।

(৪) সংরক্ষণ পাত্র ঠাণ্ডা জায়গার ইট, কাঠ বা মাচার উপরে রাখতে হবে।

(৫) সংরক্ষণ পাত্রের চার পাশ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণ না হয়।

(৬) যদি কোনো কারণে পাত্র ভেঙে অথবা ফেটে যায় তবে ভাল বীজ আবার শুকিয়ে অন্য পাত্রে একই নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি :

ডাল বীজ বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা যায়। তবে বীজের আর্দ্রতা ও সংরক্ষণ পদ্ধতির উপর বীজের গুণাগুণ বহুলাংশে নির্ভর করে। নিম্নের সারণিতে বীজের বিভিন্ন পর্যায়ে কী পরিমাণ আর্দ্রতা থাকে তা দেখানো হলো।

সারণি : বীজের আর্দ্রতার ওপর নির্ভর করে ডান সংরক্ষণ

 

 

সাধারণত তিন ভাবে ভাল সংরক্ষণ করা যায়-

(১) পলিখিনযুক্ত ছালার বস্তা : ভাল বীজ সংরক্ষণে পলিধিনযুক্ত ছালার বস্তা খুবই উপযোগী। পুরু পলিথিন ব্যাগ পাটের বস্তার ভিতরে ভরে এ ধরনের বস্তা তৈরি করা যায়। বক্তার মধ্যে ভালবীজ ভরে প্রথমে পলিথিনের মুখটি পুড়িয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে হালার ব্যাগের মুখ রশি দিয়ে শক্ত করে। বেঁধে দেওয়া হয়।

প্রতি ১০০ কেজি ডালর বীজের জন্য একটি বস্তার খরচ পড়ে মাত্র ৩০-৩৫ টাকা। এ ধরনের ছালার বস্তা ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে বস্তার ভিতরের পলিথিন ব্যাগ পরিবর্তন করে তা পুনরার ব্যবহার করা যায়।

 

চিত্র: পলিধিনযুক্ত বস্তা

(২) পলিথিনযুক্ত মাটির পাত্র : উন্নত পাত্রের ভিতরে পুরু পলিথিন ব্যাগ প্রবেশ করিয়ে ডাল সংরক্ষণ করা যায়। ডাল ফসলের বীজ পলিথিন ব্যাগে ভরে পলিথিনের যুখ মোমের শিখার পুড়িয়ে সিল করে দেয়া হয়। পরে পাত্রের মুখ তুধ মিশ্রিত কালামাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাত্রের ভিতর পলিথিন থাকার বাহিরের যাজ্ঞান বা তা ফিরতে প্রবেশ কররে পারে না। স্থা রাখা যায়। ক্ষণকালে দ্বিতীর যার কামোর প্রয়োজন হয় না। প্রতি ৪০ কেজি পারে পড়ে। এ পরিবর্তন করাতে হয়।

(৩) চিনের উন্নত পাত্র :  যারা এদের তৈরি করা । পা গোলাকার ভাষা থাকে। ফলে সিলিং যা করলে বাহিরের বাতান বা মাতা ডিরে প্রবেশ করে । ক্ষণ করা যায়। পড়ে ২০০ টাক ১০-১২ বছর পার করা যায়।

 

চিত্র : মাটির পাত্র ও টিনের পাত্র

 

আরও দেখুন : 

Exit mobile version