আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় গোলাজাত ভুট্টার পোকামাকড় দমন
Table of Contents
গোলাজাত ভুট্টার পোকামাকড় দমন
গোলাজাত ভুট্টার পোকামাকড়
গুদামজাত ভুট্টা শস্যদানার ক্ষতিকারক পোকাসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে।
১. চালের গুঁড় পোকা বা রাইস উইভিল।
২. ধানের সরুই পোকা বা রাইস মথ।
৩. ভুট্টার শুঁড় পোকা বা মেইজ উইভিল।
উপরোক্ত পোকার মধ্যে প্রথম দুইটি পোকার ক্ষতির প্রকৃতি সম্পর্কে নবম শ্রেণির ২য় অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে। এ অধ্যায় শুধু ভুট্টার শুঁড় পোকার বর্ণনা দেওয়া হলো-
ভুট্টার গুঁড় পোকা বা মেইজ উইভিল :
এই পোকা চালের শুঁড় পোকার মতোই তবে দেখতে কিছুটা কালো এবং লম্বায় বড় (৩.৫-৪০ মি.মি) এ পোকা ভুট্টার দানা ছাড়াও চাল, গম ও যবের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এ পোকার আক্রমণ ও লক্ষণ চালের শুড় পোকার মতোই।
গোলাজাত ভুট্টার পোকামাকড় দমন
সতর্কতা অবলম্বন
১. ভুট্টার শস্যদানা গোলাজাত করার পূর্বে ৩-৪ বার ভালোভাবে শুকিয়ে দানার আর্দ্রতা ১০-১২% এর মধ্যে রাখতে হবে।
২. দানা গোলাজাত করার পূর্বে গোলাঘরের দেয়াল বা মেঝেতে কোনোরূপ ফাটল থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। ঘরের চারপাশ পরিষ্কার করতে হবে।
৩. গোলাঘর, ভুট্টা রাখার ব্যাগ বা পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেভিন বা ম্যালাথিয়ন ১০% পাউডার দ্বারা শোধন করা যেতে পারে। অথবা ডেসিস ২.৫ অনুমোদিত হারে স্প্রে করা যায়।
৪. গোলা ঘরে (চিত্র) প্রয়োজনমতো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং বৃষ্টির দিনে যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. সঠিক পাত্রে সঠিকভাবে ভুট্টা সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. মাঝে মাঝে ভুট্টার দানা শুকাতে হয়। এতে ভেতরের কীড়া মারা যায়।
চিত্র : ভুট্টা সংরক্ষণ গোলাঘর
কীটনাশক প্রয়োগ
১. প্রতি কেজি শস্য দানায় ১ গ্রাম সেভিন বা মালাথিয়ন ১০% পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
২. গুদামঘরে স্তূপীকৃত প্রতি টন শস্যের জন্য ৩-৬টি ফসটসিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. গুদামঘরে বস্তায় রাখা স্তূপীকৃত প্রতি ১০০০ ঘনফুট দানার জন্য ১৫-২৫ টি ফসটক্সিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা প্রিমিফস মিথাইল (একটেলিক) ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. প্রতি কেজি ভুট্টার বীজে ১০মিলি হারে নিম তেল ব্যবহার করে শুড় পোকা দমন করা যেতে পারে । এ ছাড়া নিশিন্দা, বিষকাটালী ও ল্যান্টানা নামক জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও দেখুন :