Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

খনিজের শ্রেণিবিভাগ

খনিজের শ্রেণিবিভাগ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় খনিজের শ্রেণিবিভাগ  , যা খনিজ পদার্থ অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

Table of Contents

খনিজের শ্রেণিবিভাগ

মানবদেহের প্রয়োজনীয়তা ও খাদ্যে প্রাপ্ত পরিমাণের ভিত্তিতে মৌলসমূহকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যা নিম্নরূপ-

১। অত্যাবশ্যক মৌলসমূহ (Essential elements)

২। উপকারী মৌলসমূহ (Beneficial elements)

৩। সংক্রমিত মৌলসমূহ (Contaminaing elements)

৪। দূষণকারী মৌলসমূহ (Polluting elements)

 

 

১। অত্যাবশ্যক মৌলসমূহ:

যে-সব মৌলসমূহ নিম্নের শর্তগুলো পালন করে তাদেরকে অত্যাবশ্যক মৌল বলে।

(1) এ মৌলগুলো সকল প্রকার সুস্থ কোষ কলার মধ্যে উপস্থিত থাকে। (ii) এ মৌলগুলোর কোনো একটি বা একাধিক শরীরে অনুপস্থিত থাকলে শারীরিক অসামজস্য দেখা দেয় এবং ঔষধ বা

P

খাদ্যের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করলে অসুস্থতা দূর হয়।

(ii) বিভিন্ন প্রকার জীবদেহে এই মৌলসমূহের উপস্থিতির পরিমাণ মোটামুটি কাছাকাছি থাকে।

তাত্ত্বিক

এ মৌলসমূহকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

(a) ম্যাক্রো মৌল (Macro elements)

(b) মাইক্রো মৌল (Micro-elements)

(a) ম্যাক্রো মৌল ঃ আমরা খাদ্যের সাথে যে সকল খনিজ লবণ বা অত্যাবশ্যক মৌল গ্রহণ করি তাদের মধ্যে যে মৌলগুলো শারীরবৃত্তীয় কাজে বেশি প্রয়োজন তাকে ম্যাক্রো মৌল বলে। যেমন- কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং সালফার।

 

 

(b) মাইক্রো মৌল ঃ আমরা খাদ্যের সাথে যে সকল খনিজ লবণ গ্রহণ করি তাদের মধ্যে যে মৌলগুলো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কম প্রয়োজন (0.05% এরও কম) হয় তাদেরকে মাইক্রো মৌল বলে। যেমন— আয়রন, জিংক, কপার, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, মলিবডেনাম ফ্লোরিন, আয়োডিন এবং সেলিনিয়াম (Se)।

২। উপকারী মৌলসমূহ ঃ এ শ্রেণির মৌলসমূহ শরীরে না থাকলেও জীব জীবনধারণ করতে পারে। কিন্তু সুস্থভাবে বাঁচতে গেলে

জীবদেহে এই মৌলগুলো সঠিক পরিমাণে থাকা প্রয়োজন। এ মৌলগুলোকে উপকারী মৌল বলে। যেমন- Si, E, Br, Se, Sn, Ni, v

ইত্যাদি।

৩। সংক্রমিত মৌলসমূহ : ২০ থেকে ৩০ টি মৌল এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এ মৌলগুলো কোষকলায় উপস্থিত থাকে। কিন্তু অত্যাবশ্যক মৌলগুলোর মতো এদের উপস্থিতির হার এক থাকে না। শারীরিক ক্রিয়া বিক্রিয়ায় এদের ভূমিকা এখনও জানা যায়নি।

 

 

৪। দূষণকারী মৌলসমূহ ঃ জীবদেহে কোনো সংক্রামক মৌলের পরিমাণ যখন এমন একটা মাত্রায় পৌঁছায় যে জীবের শারীরিক ক্ষতির লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন ঐ সংক্রামক মৌলকেই দূষক মৌল বলে উল্লেখ করা হয়।

লেড, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারিকে গৃহক মৌল শ্রেণিভুক্ত করা হয়। কারণ রক্তে এদের অতি সামান্য পরিমাণ উপস্থিতিও বেশি ক্ষতিকারক। কয়েকটি দূষক মৌলের আবার ক্যান্সার সংঘটন ধর্ম আছে। যেমন- আর্সেনিক, টিন ও ক্যাডমিয়াম (Ca) ।

 

আরও পড়ূনঃ

Exit mobile version