Site icon Food & Culinary Arts Gurukul [ খাদ্য ও রন্ধনশিল্প গুরুকুল ] GOLN

আনারস এর স্লাইস সংরক্ষণ করণ | ফুড প্রেসেরভেশন

আনারস এর স্লাইস সংরক্ষণ করণ | ফুড প্রেসেরভেশন

আনারস এর স্লাইস সংরক্ষণ করণ ক্লাসটি “ফুড প্রেসেরভেশন-২ (৬৬৯৫১)/Food Preservation-2 (66951)” বিষয়ের পাঠ। আজকের ক্লাসটি “ফুড প্রসেসিং & প্রেসেরভেশন-২/Food Processing & Preservation-2” কোর্সের অংশ। ফুড প্রেসেরভেশন-২ (৬৬৯৫১) [Food Preservation-2 (66951) ] কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের [Bangladesh Technical Educaiton Board, BTEB], ভাকেশনাল [Vocational] ডিসিপ্লিনের, ফুড [Food] ট্রেডের অংশ।

 

আনারস এর স্লাইস সংরক্ষণ

 

আনারস এক প্রকারের গুচ্ছফল। এর অন্যান্য নাম – Pineapple, AnannasAnanusBahunetraphalamAnamnasam। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Ananas comosus (L.) Merr. এই ফলের আদি জন্মস্থল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ। তবে বর্তমানে ক্রান্তীয় অঞ্চলে বিশ্বের সর্বত্রই এর চাষের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। কোস্টারিকা, ব্রাজিল এবং ফিলিপাইন এই তিনটি দেশ একত্রে বিশ্বের সমগ্র আনারস উৎপদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে।

 

 

আনারস ফলের ইংরেজিতে প্রথম উল্লেখ পাওয়া গেছে আন্দ্রে থেভেটের দ্য নিউ ফাউন্ড ওয়ার্ল্ড অর অ্যান্টার্কটাইকের ফ্রেঞ্চ অনুবাদ থেকে। এটি ১৫৬৮ সালের অনুবাদ যেখানে তিনি একে একটি Hoyriri হিসেবে উল্লেখ করেছেন।। আধুনিক রিও ডি জেনিরোর কাছে বসবাসকারী টুপিনাম্বার লোকেরা এই ফল চাষ করতো খেতো, এবং এখন একেই আনারস বলে বিশ্বাস করা হয়। পরবর্তীতে একই ইংরেজি অনুবাদে, তিনি একই ফলটিকে “Pine apple এর পদ্ধতিতে তৈরি করা নানা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে তিনি আরেকটি টুপি ভাষার শব্দ nanas ব্যবহার করেছেন। যার অর্থ ‘চমৎকার ফল’।

 

এই শব্দের ব্যবহার অনেক ইউরোপীয় ভাষা দ্বারা গৃহীত হয়েছিল এবং উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক দ্বিপদ নাম Ananas comosus এটি থেকেই এসেছে, যেখানে comosus ‘tufted’ উদ্ভিদের কান্ডকে বোঝায়। পর্চাস, ১৬১৩ সালে ইংরেজিতে লিখে, ফলটিকে আনানাস হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন, কিন্তু অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে ১৭১৪ সালে ম্যান্ডেভিলের একজন ইংরেজ লেখকের দ্বারা pineapple শব্দের ব্যবহার প্রথম নথিভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৮ সালে সারা বিশ্বে আনারসের উৎপাদন ছিল ২৭৯ লক্ষ টন। সবথেকে বেশি উৎপাদন করছিল কোস্টা রিকা। এরপর বৃহত্তম উৎপাদক হিসাবে যথাক্রমে রয়েছে ফিলিপাইন, ব্রাজিল এবং থাইল্যান্ড।

চাষাবাদ

আড়াআড়ি ভাবে সারি করে কোদাল দিয়ে জমি হালকা ভাবে তৈরী করে, বর্গাকার, আয়তাকার ও কুইন্সাল পদ্ধতিতে আনারস চারা লাগানো হয়। চুন, ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় সার প্রয়োগ করা হয়। গোবর, টিএসপি জমি তৈরি কালে এবং ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ সার ফুল আাসার আগে প্রয়োগ করা হয়।

আনারস গাছ কড়া রোদ সহ্য করতে পারে না তাই লেবু, নারিকেল, সুপারী, কাজু বাদাম পেপে ইত্যাদি ফল বাগানে হালকা ছায়ায় আনারস ফলানো হয়। ফুল নিয়ন্ত্রন ও ফলের আকার বড় করতে হরমোন ব্যবহার করা হয়। মিলিবাগ পোকার উপদ্রবে সুমিথিয়ন, প্যরাথিয়ন ঔষুধ দিয়ে স্প্রে করা হয়। জানা যায়, কলার মত আনারস গাছে ফল দেয়ার পর প্রধান গাছটি মরে যায় (ঔষধী উদ্ভিদ) এবং সে গাছের কান্ড থেকে আবার নতুন চারা গজায়।

চাষাবাদের অঞ্চল

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর উপজেলায় আনারস উৎপাদন হয়। এ অঞ্চলটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল শালবনের একাংশ। শাল বন এলাকার মাটি আনারস চাষের উপযোগী। এখানের জলবায়ু আনারসের অনুকূল। তাই বৃহত্তর ময়মনসিংহে আনারসের চাষ প্রধানত হয় গড় অঞ্চলেই।

 

 

আনারস এর স্লাইস সংরক্ষণ করণ নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুন : 

Exit mobile version