আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় রসুনের আচার তৈরি অনুশীলন
Table of Contents
রসুনের আচার তৈরি অনুশীলন
রসুনের আচার তৈরি অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
বাংলাদেশে রসুনের আচারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এদেশের রসুনের উৎপাদন সন্তোষজনক। রসুন মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন- হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও রক্তচাপ ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে। অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে অভ্যস্ত নয় কিন্তু আচার হিসেবে সহজেই খাওয়া যায়। তাছাড়া এই আচার ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
রসুনের অ্যালিসিন মানুষের শরীরের কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া জৈব বালাইনাশক হিসেবে রসুনের রস দিয়ে বীজ মাখিয়ে বুনলে বীজ বাহিত রোগ দমন হয়।
চিত্র : আস্ত রসুন ও রসুনের কোয়া
রসুনের আচার তৈরি করতে হলে নিম্নের ধাপ অনুসরণ করতে হবে :
১. বড় কোয়া বিশিষ্ট ত্রুটিমুক্ত রসুন সংগ্রহ করতে হবে।
২. আস্ত রসুন ভেঙে কোয়াগুলো বের করতে হবে।
৩. . পানিতে নরম হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে এবং পানি ঝরিয়ে তুলো নিতে হবে ।
৪. সরিষার তেল সম্পূর্ণ ফুটিয়ে নিতে হবে।
৫. আদা ও রসুন বাটা তেলে যোগ করে নেড়ে অর্ধভাজা করে তার সাথে রসুনের কোয়া যোগ করে নেড়ে মিশাতে হবে ও তাপ দিতে হবে।
৬. তারপর তেল ফোটা শুরু হলে কালিজিরা ও জিরার গুঁড়া বাদে অন্যান্য সব মশলা লবণ ও চিনি যোগ করে অনবরত নাড়তে হবে।
৭. যখন আচারের গন্ধ বের হবে জিরার গুঁড়া ও কালোজিরা যোগ করে নেড়ে ৫-১০ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
৮. তারপর অ্যাসিটিক এসিড বা পটাশিয়াম বাই মেটাসালফেট (কেএমএস) দ্রবণ যোগ করে নেড়ে মিশাতে হবে ।
৯. আচার থেকে তেল আলাদা করে জীবাণুমুক্ত বোতলের গলা পর্যন্ত ভরে বাকি তেল সেখানে ভরে দিতে হবে ।
১০. ছিপি ও লেবেল লাগিয়ে বায়ুরোধী করে বাজারজাত করা যাবে।
সতর্কতা :
১. মসলা যেন পুড়ে না যায় ।
২. মাঝে মাঝে রোদে দিলে ছত্রাকের আক্রমণ হবে না।
আরও দেখুন :