আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ভুট্টা রুটি তৈরি ও চাপাতি তৈরির অনুশীলন
Table of Contents
ভুট্টা রুটি তৈরি ও চাপাতি তৈরির অনুশীলন
ভুট্টা রুটি তৈরি ও চাপাতি তৈরির অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
ভুট্টার পুষ্টিমান চাল ও গমের সমপর্যায়ের। তবে কোনো কোনো উপাদান চাল ও গমের চেয়েও বেশি। ভুট্টার নানাবিধ খাবারের মধ্যে ভুট্টার খৈ (পপকর্ন) ও কর্ণ ফ্লেক্স সারা বিশ্বের লোকের নিকট সমাদৃত। ভারত ও পাকিস্তানে ভুট্টার আটার রুটি ও চাপাতি খুব প্রচলিত। গমের ময়দার সাথে ভুট্টার ময়দার মিশ্রণ হলে তা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় এবং গমের চাহিদা লাঘব হয়। চাপাতি তৈরির জন্য ভুট্টা ও গমের ময়দা, লবণ, পানি মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করতে হবে। মন্ড নরম হওয়ার জন্য খামির কিছুক্ষণ রেখে দিতে হয়।
উপকরণ :
১. ভুট্টার ময়দা – ৭৫০ গ্রাম
২. গমের আটা – ২৫০ গ্রাম
৩. লবণ – ৫ গ্রাম
৪. পানি – পরিমাণমতো
৫. পিঁড়ি – ১টি
৬. বেলন – ১টি
৭. গামলা – ১টি
৮. পাত্র – ১টি
৯. চালনি – ১টি
১০. চুলা – ১টি
১১. নিক্তি ইত্যাদি ।
ভুট্টার রুটি ও চাপাতি তৈরির করার জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে :
১. ভুট্টা ও গমের ময়দা আনুপাতিক হারে মেপে নিতে হবে। এই আনুপাত ৪:১, ২:১ বা ১:১ ভাবে ভুট্টা ও গমের ময়দা হতে পারে।
২. ময়দা চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে।
৩. ভুট্টা ও গমের ময়দা, লবণ ও পানি আস্তে আস্তে একত্রে মিশিয়ে মণ্ড বা খামির তৈরি করতে হবে।
৪. ময়দার সাথে একেবারে সমস্ত পানি না মিশিয়ে অল্প অল্প করে মিশাতে হবে। কেননা একসাথে পানি মেশালে খামির নরম হয়ে যেতে পারে। তাবে খামির ডলার সময় শক্ত লাগলে কিছু অতিরিক্ত পানি মিশাতে হবে।
৫. খামির তৈরি হলে কিছু সময় রেখে দিতে হবে।
৬. খামির হাত দিয়ে লম্বা করে একদিকে থেকে টেনে ছোট ছোট বল বানিয়ে রাখেতে হবে।
৭. পিঁড়ি ও বেলনে এই বল হতে রুটি বানিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
৮. চাপাতি বানানোর জন্য রুটিকে যতদূর সম্ভব বেলে তারপর টেনে টেনে গোল করে বড় করতে হবে। অনেক সময় হাতে নিয়ে বিশেষ কায়দায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বড় করে গরম তাওয়ায় সেঁকে চাপাতি বানানো হয় ।
৯. চাপাতি হলে ডিম ও সবজি ভাজি সহযোগে পরিবেশন করা যায়।
১০. রুটি ও চাপাতি অনেকটা একই রকম, তবে চাপাতি রুটি হতে বড় এবং পাতলা ও নরম হয়। রুটি ছোট ও ভালো করে স্যাঁকা হয়।
সতর্কতা :
১. ময়াদার পানি সতর্কতার সাথে দিতে হবে।
২. চাপাতি বড় করতে গিয়ে ছিঁড়ে যেতে পারে সেদিকে সতর্ক হতে হবে ।
আরও দেখুন :