আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নারিকেলের দুধ হতে তেল সংগ্রহ অনুশীলন
Table of Contents
নারিকেলের দুধ হতে তেল সংগ্রহ অনুশীলন
নারিকেলের দুধ হতে তেল সংগ্রহ অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
নারিকেল একটি উৎকৃষ্ট ফল জাতীয় খাদ্য। শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায়ই এ গাছ জন্মে। নারিকেল গাছের প্রতিটি অংশই মানুষের এত বেশি কাজে লাগে যে কারণে একে স্বর্গীয় বৃক্ষ বা কল্পতরু বলে। নারিকেলের শাঁস অতি উৎকৃষ্ট পুষ্টিকর খাবার, যা থেকে নারিকেলের দুধ পাওয়া যায়। এই দুধ দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যকে আরো মুখরোচক ও উপাদেয় করে তোলা যায়।
নারিকেলের দুধ হতে আমরা যে তেল পাই তা আমরা ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও সাবান, প্রসাধনী ও লুব্রিকেন্ট প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তবে আমরা রান্নার ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার না করে শুধুমাত্র চুলে মাখার কাজে ব্যবহার করি। অথচ অন্যান্য দেশগুলো যেমন- মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশে নারিকেল তেল ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার হয়। দুঃখের বিষয় আমরা সয়াবিন তেল খাই বা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
উপকরণ :
১. ঝুনা নারিকেল
২. কুরানি
৩. সসপ্যান
৪. ছাকনি
৫. চুলা
৬. দা
৭. ব্রেভার
৮. কড়াই
৯. ফ্রিজার
১০. চামচ
চিত্র : নারিকেল থেকে কোরা, তেল ও নাড়ু তৈরি।
মারিফেল মুখ হতে ডেল ভারণের জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে
১. পরিপক্ক একটি ঝুনা নারিকেল সংগ্রহ করতে হবে।
২. নারিকেলটির ছোবড়া সাবধানে অপসারণ করতে হবে।
৩. দা-এর সাহায্যে নারিকেলটি সাবধানে দ্বিখণ্ডিত করতে হবে।
৪. কুরানি দিয়ে ধীরে ধীরে নারিকেলের কাঁচা শাঁস কুরিয়ে নিতে হবে।
৫. রেডারে সমান্য পরম পানি নিয়ে তাতে সমস্ত নারিকেলের কোরা মিশাতে হবে।
৬. ব্রেল্ডার মেশিন অন করে ২/৩ মিনিট চালাতে হবে।
৭. ছাকনি দিয়ে মিশ্রণ হেঁকে কোরানো অংশ ও দুধ আলাদা করতে হবে।
৮. অবশিষ্ট কোরানো অংশে কয়েকবার পানি দিয়ে সম্পূর্ণ দুধ চিপে বের করতে হবে।
৯. কড়াইতে দুধ নিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে অর্ধেক ঘন করতে হবে।
১০. চুলা হতে নামিয়ে সম্পূর্ণ দুধ ঠাণ্ডা করে ফ্রিজারের নিচের অংশে সারাদিন রেখে দিতে হবে।
১১. পরদিন দেখা যাবে যে, পাত্রে নারিকেলের তেল উপরে জমাট বেঁধে আছে।
১২. সাবধানে উপর থেকে তেল বের করে অন্য পাত্রে সংগ্রহ করতে হবে।
১৩. একটু গরম করে ছেঁকে নিলেই সুঘ্রাণযুক্ত নারিকেল তেল পাওয়া যাবে।
১৪. আধা লিটার তেলের জন্য ৫-৬টি মাঝারি আকারের নারিকেলের দুধ নিতে হবে।
১৫. তেল আহরণের পর অবশিষ্ট তলানি স্তর পাওয়া যাবে যা সুঘ্রাণযুক্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য।
আরও দেখুন :