আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নারিকেলের দুধ তৈরির অনুশীলন
Table of Contents
নারিকেলের দুধ তৈরির অনুশীলন
নারিকেলের দুধ তৈরির অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
খাদ্যকে আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু করতে নারিকেলের জুড়ি নেই। পরিপক্ক নারিকেলের পানি অপেক্ষা শাঁস অধিকতর সুস্বাদু। নারিকেলের শাঁস থেকে তেল, সদেশ, কেক, চকলেট, ক্যান্ডি, পিঠা, চিড়া প্রভৃতি তৈরি করা হয়। কাঁচা শাঁস হতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পায়েস, নাডু, লাড্ডু তৈরি করার রীতি এদেশে বহুল প্রচলিত ।
কাঁচা শীস নিংড়ে যে সুখ পাওয়া যায় তা বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী তৈরি এবং সরাসরি পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারিকেলের দুধ বিভিন্ন খাবারের রান্নায় ব্যবহার হয়। একটি বড় নারিকেল হতে এক কাপ ঘন দুধ বের করা যায়।
উপকরণ :
ঝুনা নারিকেল, কুরানি, ব্লেন্ডার, প্লেট, সসপ্যান, ছাঁকন বা ছাঁকার কাপড়, জগ, গ্লাস, দা ইত্যাদি।
চিত্র : নারিকেলের দুষ নিস্কাশন
নারিকেলের দুধ তৈরি করতে নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে :
১. উন্নতমানের বড় আকারের একটি ঝুনা নারিকেল সংগ্রহ করতে হবে।
২. দা বা বঁটি দিয়ে নারিকেলের ছোবড়া ভালো করে তুলে ফেলতে হবে।
৩. দা দিয়ে নারিকেল ভেঙ্গে ভিতরের পানি সংগ্রহ করতে হবে।
৪. নারিকেল দ্বিখণ্ডিত হলে প্রতিটি খণ্ড নারিকেল কুরানি দিয়ে কুরিয়ে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. অপর খণ্ডটি পূর্বের মতো কুরাতে হবে ।
৬. একটি সসপ্যানে পানি হালকা কুসুম গরম করে সমস্ত কুরানো নারিকেল ঢেলে দিতে হবে।
৭. তারপর ভালো করে কুরানো নারিকেল হাত দিয়ে কচলে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ডিং করতে হবে এবং পূর্বের সংগ্রহকৃত নারিকেল পানিতে মিশাতে হবে।
৮. কিছুক্ষণ পর ছাঁকনি বা ছাঁকার কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিতে হবে।
৯. জগে সম্পূর্ণ নারিকেলের ছাঁকা দুধ নিয়ে তার সাথে পরিমাণমতো চিনি, এসেন্স ও কালার দিয়ে সুস্বাদু পানীয় তৈরি করা যেতে পারে।
১০. অথবা নারিকেলের পরিশ্রুত সাদা দুধ দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য রান্না করে খাদ্যকে আকর্ষণীয় ও উপাদেয় করা যায়।
১১. ছাঁকার পর যে অংশটুকু থেকে যাবে তা দিয়ে বিভিন্ন পিঠা, বিস্কুট বা কেক তৈরি করা যাবে।
নারিকেল দুধের ফ্লো চার্ট
সর্তকতা:
১. নারিকেলের দুধ বের করার জন্য পানি কুসুম গরম হতে হবে।
২. শাঁস পুরু ও পরিপক্ব হলে দুধ বেশি ও ঘন হবে ।
আরও দেখুন :